ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফুলহামের সঙ্গে পেশাদার চুক্তি স্বাক্ষর করলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ফারহান আলী ওয়াহিদ। এত দিন ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলে খেলা এই তরুণ উইঙ্গার সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে চুক্তিসইয়ের ছবি পোস্ট করে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
ফারহানের জন্ম ইংল্যান্ডে। তার বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি হলেও তাদের জন্মও সেখানেই। ফুটবলে ফারহানের শুরুর পথ চেলসির যুব দলে। ২০১৯ সালে চেলসি অনূর্ধ্ব-১২ দল থেকে ফুলহামে যোগ দেওয়ার পর ধাপে ধাপে তিনি পাড়ি দিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলে। গত মৌসুমে ফুলহামের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে ২০ ম্যাচে সাতটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। সেই মৌসুমেই অনূর্ধ্ব-২১ দলে অভিষেক ঘটে তার, যেখানে পিএসভির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগ ইন্টারন্যাশনাল কাপে গোল করে নজর কাড়েন।
চুক্তি স্বাক্ষর করে আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় ফারহান বলেন, 'এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ছোটবেলা থেকে এই মুহূর্তের জন্য আমি পরিশ্রম করে এসেছি। এটা সত্যি দারুণ এক যাত্রা ছিল। ফুলহামের প্রতিটি ধাপে আমি দুর্দান্ত এক দলের অংশ ছিলাম এবং সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে।'
নিজের পথচলায় পরিবার ও সতীর্থদের অবদানও স্বীকার করেছেন ফারহান। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার সবসময় পাশে থেকেছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তারা আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে—মাটিতে পা রাখতে হবে।’
বাংলাদেশি পটভূমি থেকে আসা ফারহানের এই অগ্রগতি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ তৈরি করেছে। যদিও তিনি এখনই বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে জায়গা করে নেওয়ার দিকেই নজর থাকবে তাঁর। ২০২০ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পেলেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর।
হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, তারিক কাজী কিংবা জামাল ভূঁইয়ার মতো আরও এক সম্ভাবনাময় প্রবাসী ফুটবলারের উত্থানে বাংলাদেশের ফুটবল যেন আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে। এখন দেখার বিষয়, ফারহান ভবিষ্যতে লাল-সবুজের জার্সিতে দেখা যাবে কিনা।
মন্তব্য করুন