সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে প্রতিপক্ষ এস্পানিয়ল প্রাণপণ লড়াই করল—কিন্তু শেষ হাসি হাসল রিয়াল মাদ্রিদই। এদার মিলিতাও ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দূরপাল্লার ঝলমলে দুই গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় তুলে নিল লস ব্লাঙ্কোসরা। পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুমের শুরুটা নিখুঁত রেখেই এখন গুরুত্বপূর্ণ এক সপ্তাহের সামনে দাঁড়িয়ে তারা, যেখানে অপেক্ষায় লেভান্তে ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চ্যালেঞ্জ।
প্রথমার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এস্পানিয়লের হাতেই ছিল বলা যায়। ছন্দহীন রিয়ালকে চাপে রেখেছিল অতিথিরা, তবে বড় সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। বরং ৩০ মিটার দূর থেকে মিলিতাওয়ের ঝড়ো শটে ভেঙে যায় তাদের রক্ষণভাগের দেয়াল। চোট থেকে ফেরা এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার যেন নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন, ম্যাচে যেমন রক্ষণে অবদান রেখেছেন, তেমনি গোল করেও দলকে এগিয়ে দিয়েছেন।
এস্পানিয়ল এরপরও সুযোগ পেয়েছিল। একবার পুয়াদোর ক্রসে সামান্য দেরি করেন রবার্তো ফার্নান্দেজ, আবার একবার এক্সপোসিতোর ফ্রি-কিকে কালেরোর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে তাদের আক্রমণের ভিড়ে যে অনুপস্থিতি প্রকট হয়ে উঠল, তা হলো গোল করার ধাত।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজের রূপ চেনান এমবাপ্পে। প্রথমে সহজ এক সুযোগ নষ্ট করার পরও নিজেকে থামতে দেননি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে মিলিয়ে দেন স্কোরশিটে নিজের নাম। দিমিত্রোভিচের আরও ভালো কিছু করার সুযোগ ছিল, কিন্তু ফরাসি তারকার নিখুঁত ফিনিশিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের শেষ দিকে স্প্যানিশ ক্লাবটি কয়েকটি পরিবর্তন আনলেও রিয়ালের সংগঠিত রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। আলভারো কারেরাস দারুণভাবে সামলান ডানপ্রান্তের লড়াই, আর মাঝমাঠে শক্তি জোগান আরদা গুলের।
নতুন মৌসুমে এখনও সেরা ছন্দে পৌঁছাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে বারবার প্রমাণ করছে—তাদের জয়ের উপায় অনেক। কখনও রক্ষণ, কখনও তারকা ফরোয়ার্ডদের দক্ষতা, আবার কখনও মাঝমাঠের পরিশ্রম। এদিন ছিল দুইটি সোনালী দূরপাল্লার শটের দিন, যা নিশ্চিত করল পূর্ণ পয়েন্ট।
মন্তব্য করুন