লা লিগার চলতি মৌসুমে একের পর এক দাপট দেখিয়ে চলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শনিবার রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠ আনোয়েতায়ও ছবিটা ছিল একই—প্রথমার্ধেই ফরাসি ফরোয়ার্ডের জাদুকরী নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও ডিফেন্ডার ইয়ান হুইসেনের বিতর্কিত লাল কার্ডে এক ঘণ্টার বেশি সময় দশজন নিয়ে খেলতে হয়েছে অতিথিদের। শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পের শুরুতে তৈরি করা ব্যবধান, মিলিতাওয়ের দৃঢ় রক্ষণ আর কোর্তোয়ার দুর্দান্ত সেভে ভর করে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোস।
ম্যাচের শুরুতেই এমবাপ্পে দেখান কেন তাকে বলা হচ্ছে মৌসুমের সেরা তারকা। প্রথম ১৫ মিনিটে একটি দারুণ অ্যাসিস্ট (যা অফসাইডে বাতিল হয়), কারভাহালের ক্রসে চমৎকার টাচ, দ্রুত দৌড়ে একটি গোল এবং জুবেলদিয়াকে পরাস্ত করে এক শট পোস্টে লাগান তিনি। অবশেষে দুরন্ত দৌড়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্স ভেঙে জালের দেখা পান ফরাসি সুপারস্টার, এগিয়ে দেন দলকে।
তবে ৩০ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ধারা পাল্টে যায়। সোসিয়েদাদের অধিনায় ওয়ারজাবালের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে জড়িয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তরুণ ডিফেন্ডার হুইসেন। রেফারির সিদ্ধান্ত ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
সংখ্যাগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে আক্রমণ বাড়ায় স্বাগতিকরা। তবে এমবাপ্পে থামেননি। আরদা গুলারের সঙ্গে দুর্দান্ত সমন্বয়ে দ্বিতীয় গোল তৈরি করেন, যা শেষ করেন তরুণ তুর্কি তারকা।
তবু দ্বিতীয়ার্ধে হাল ছাড়েনি সোসিয়েদাদ। ডানদিক থেকে এক আক্রমণে কারভাহালের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় তারা। নির্ভুলভাবে স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান ওয়ারইয়ার্ড। এর পর কুবো ও সোলারের দাপটে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণে চাপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে কুর্তোয়া একক নৈপুণ্যে কয়েকটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন।
শেষদিকে ভিনিসিয়ুস ও ব্রাহিমকে তুলে নিয়ে রক্ষণ শক্তিশালী করেন কোচ জাবি আলোনসো। এমবাপ্পে আরও একবার একক দৌড়ে সুযোগ তৈরি করলেও গোল পাননি। তবে শেষ বাঁশি বাজতেই জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের, টেবিলের শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করে নেয় জাবি আলোনসোর শিষ্যরা।
মন্তব্য করুন