লা লিগায় বার্সার ম্যাচে যেন অঘটনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল স্পেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ওভিয়েদোয়। নবাগত দল রিয়াল ওভিয়েদোর বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষ হলো বার্সেলোনার জন্য হতাশায় ডুবে। গোলকিপার জোয়ান গার্সিয়ার চরম ভুলে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন রেইনা। সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সাকে হয়তো পয়েন্ট হারিয়েই ফিরতে হবে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অন্য চিত্র। একে একে এরিক গার্সিয়া, রবার্ট লেভানডফস্কি আর রোনালদ আরাউহোর গোলে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটাল কাতালানরা। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয়ে লা লিগার টেবিলে রিয়াল মাদ্রিদের পিছু নেওয়ার লড়াইয়ে টিকে রইল বার্সেলোনা।
ম্যাচ শুরুর পর থেকেই ওভিয়েদো খেলছিল আক্রমণাত্মক ফুটবল। কয়েকটি কর্নার ও তীব্র গতির আক্রমণে উচ্ছ্বসিত করল গ্যালারিভর্তি দর্শক। তাদের আরও আনন্দিত করল কিংবদন্তি সান্তি কাজোলরার প্রথম একাদশে নামা ৪০ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার—আবারও লা লিগায় শুরুর একাদশে!
এমন আবহেই এলো অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত। জোয়ান গার্সিয়ার ভুল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নিয়ে দূরপাল্লার শটে রেইনা গোল করলে ১-০-তে এগিয়ে যায় ওভিয়েদো। বিরতিতে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই কাসাদোর বদলে নামানো হয় ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে। তবে গোলের সুযোগ প্রথমে তৈরি করে ওভিয়েদোই। কিন্তু এরিক গার্সিয়ার ৫৫ মিনিটে করা সমতা ফেরানো গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ফেরান তোরেসের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে রিবাউন্ডে লক্ষ্যভেদ করেন ডিফেন্ডার গার্সিয়া।
এরপরই মাঠে নামানো হয় লেভানডভস্কিকে। মাঠে নামার ১০ মিনিটের মধ্যেই গোল করেন এই পোলিশ ফরোয়ার্ড। ৭০ মিনিটে তার শট প্রতিপক্ষের জালে জড়ালে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। শেষ দিকে হেডে আরাউহোর গোল ব্যবধান ৩-১ করে জয় নিশ্চিত করে।
ছয় ম্যাচ শেষে পরিষ্কার হলো—লা লিগা শিরোপার লড়াই রয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে। নবাগত ওভিয়েদোকে হারালেও ফ্লিকের দলকে সাবধান হতে হবে—কারণ লেভান্তের বিপক্ষেও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পিছিয়ে পড়া থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অভ্যাসে পরিণত হলে মৌসুমের কঠিন পরীক্ষায় বিপদে পড়তে পারে বার্সেলোনা।
তবে আপাতত, ওভিয়েদোর মাঠে পাওয়া এই জয়ে ফ্লিক স্বস্তি খুঁজবেন। আর সমর্থকরা দেখবেন—বার্সার তারকারা এখনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলে দাঁড়াতে জানে।
মন্তব্য করুন