গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বেশ সরব ইরান। আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েরকে নিষিদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। নেই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফাকে চিঠি দিয়েছে ইরান। ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আক্রমণ এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ফিফার কাছে এই দাবি তুলে ইরান ফুটবল ফেডারেশন। এর আগে বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজে ইরানের ফুটবল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করতে একমত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশের ফুটবল সংস্থা। এমন দাবিসংবলিত একটি চিঠি ফিফার কাছে পাঠাতে প্রস্তুত ইরান।
ইরান ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক পোস্টে দেখা যায়, ইসরায়েল ফুটবল ফেডারেশনকে ‘আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার’ দাবি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ফিফা ও এর সদস্যদেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াও আহবান জানানো হয়। সেই পোস্টে ফিলিস্তিনে খাবার, পানীয়, ওষুধ ও চিকিৎসা-সরঞ্জাম পাঠানোর আবেদনও করেছে ইরান ফুটবল ফেডারেশন।
গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়। এর জবাবে সেই থেকে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ‘হামাস নির্মূলে’র নামে চালানো ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর অধিকাংশই শিশু ও নারী।
বেশ আগে থেকে ইসরায়েলের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে ইরান। ফিলিস্তিন ভূ-খণ্ডে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি বেশির ভাগ মুসলিম দেশ। ব্যক্তিগত খেলাধুলাতেও ইসরায়েলিদের সঙ্গে খেলায় বিরত রয়েছে ইরানের অ্যাথলেটরা।
গত বছরের আগস্টে পোল্যান্ডে এক কুস্তি প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি প্রতিযোগীর সঙ্গে হাত না মেলানোয় আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছে ইরানের কুস্তিগির মোস্তফা রাজায়েই। এর আগে ২০২১ সালে পদকের জন্য ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের সঙ্গে করমর্দন না করার আহবান জানান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এর আগে গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে আরব মুসলিম দেশগুলোর আপত্তির মুখে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন-এএফসি থেকে বাদ দেওয়া হয় ইসরায়েলকে। যদিও এএফসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল ইসরায়েল।
এশিয়ান কাপের প্রথম তিন আসরের ফাইনালে খেলে ইসরায়েল। আর ১৯৬৪ সালে মহাদেশীয় এই আসরে শিরোপাও জেতে তারা। এএফসি থেকে বাদ পড়ার পর নব্বই দশকের শুরু থেকে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা-উয়েফার অধীন খেলতে শুরু করেন ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন