২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ব্রাজিল। সেই দলের সারথি ছিলেন রোনালেদো, রিভালদো আর রোনালদিনহো। তাদের বদৌলতে ফুটবল বিশ্ব দেখেছিল সাম্বার ছন্দের শেষ সুর।
এর পর অনেকেই সেনানী হয়ে এসেছিলেন সেলেসাওদের দুর্গে। কিন্তু কেউ সেভাবে ফুটবলবিশ্বকে দেখাতে পারেননি সাম্বার নৃত্য। নেইমারকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেছিলেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইনজুরি তাকে পিছিয়ে গিয়েছে অনেক। স্বপ্নভাঙার গল্পে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে ব্রাজিল। নতুন এই স্বপ্ন বুনতে তাদের বাধ্য করছেন ব্রাজিলের নতুন তিন তরুণ তুর্কি।
চলতি বছর কোপা আমেরিকা আর ২৬ সালের বিশ্বকাপ, এই দুই আসরকে সামনে রেখে দল সাজাতে ব্যস্ত ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন। নতুন এক সেনানী ফেলিপে এনদ্রিকের আগমণে চাঙা হয়েছে দেশটির সমর্থকরা। দেখতে শুরু করেছেন নতুন স্বপ্ন।
১৭ বছর বয়সী তরুণ এই ফুটবলারকে ভাবা হচ্ছে আগামীর তারকা। টানা দুই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে গোল করে বিশ্বকে দেখিয়েছেন প্রতিভার ঝলক। নাম লেখিয়েছন অনেকের প্রিয় খেলোয়াড়ের তালিকায়।
তার সঙ্গে ব্রাজিলের আক্রমণভাগের অছেন পুরোনো দুই সৈন্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো। এই তিনজনই প্রতিপক্ষের কাছে মাথা ব্যথার কারণ। এরই মধ্যে মাঠে জমেছে তাদের রসায়ন।
ফুটবলবোদ্ধাদের দাবি, রোনালদো-রিভালদো-রোনালদিনহোর পর এই ত্রয়ী হতে পারেন সময়ের অন্যতম সেরা। এরই মধ্যে অনেকটা পরিণত হয়ে উঠেছেন ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগো। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে খেলছেন দুজন। ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির প্রতি ছাত্র তারা।
দুজনের খেলার ধরন, গতি আর ফিনিশিংয়ের দক্ষতা, মুগ্ধ করেছেন অনেকেই। চলতি বছর জুলাইয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দিবেন এনদ্রিক। ইংল্যান্ড এবং স্পেনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে তার ফিনিশিং মনে ধরেছে অনেকের। আগামী দিনের কাণ্ডারি ভাবা হচ্ছে তাকে।
আগামী জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকা কাপ। ইনজুরির কারণে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনা নেই নেইমারের। তাই সাম্প্রতিক সময়ে পারফরম্যান্স এগিয়ে রাখছে এনদ্রিককে।
সঙ্গে আরও আছেন ভিনি-রদ্রিগো। ব্রাজিলের আক্রমণের মূল দায়িত্বে থাকবেন এ তিনজন। যদি এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন, বড় মঞ্চে তারা হতে পারেন ব্রাজিলের গোলমেশিন।
মূলত দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ব্রাজিল। এ জন্য ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে ভিনদেশি অনেক তারকা কোচকে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ রাজি না হওয়ায় স্বদেশি দরিভাল জুনিয়রকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।
প্রথম পরীক্ষায় উতরে গেছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া এই কোচ। এখন অগ্নিপরীক্ষা বাকি তার। সেই পথে ভিনি-রদ্রিগো-এনদ্রিকের কাছ থেকে সর্বোচ্চটাই চাইবেন ব্রাজিলের নতুন কোচ।
মন্তব্য করুন