হকি দলবদলের শেষ দিন খেলোয়াড় নিবন্ধন করল মোহামেডান ও ঊষা। আগেই অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে আবাহনী ও মেরিনার্স। গতকাল দলবদলের শেষ দিন শীর্ষ দলগুলোকে ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল সোনালী ব্যাংক।
দলবদল শেষ হয়েছে রাত ৮টায়। ওই সময় পর্যন্ত কোনো খেলোয়াড় নিবন্ধন করায়নি ব্যাংকের দলটি। এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা রেজাউল করিম রিপন। গত সন্ধ্যায় দলটির আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দল গঠনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। দলবদল কার্যক্রমে খেলোয়াড় নিবন্ধন না করলেও সোনালী ব্যাংক লিগে খেলছে না— এমনটি কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না কালবেলাকে বলেছেন, ‘গত লিগে সোনালী ব্যাংকে যে খেলোয়াড়রা খেলেছেন, তারা অন্য ক্লাবে না গিয়ে থাকলে তারা তো সোনালী ব্যাংকেরই খেলোয়াড়। তাদের নতুন করে নিবন্ধন করানোর প্রয়োজন নেই। পুরোনো খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিদেশি খেলোয়াড় যুক্ত করলে লিগ খেলতে পারে সোনালী ব্যাংক।’
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। সোনালী ব্যাংক আদৌ এ মৌসুমের ঘরোয়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না— তা নিয়ে আলোচনায় বসবেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা। দলবদলের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও সোনালী ব্যাংক খেলতে আগ্রহী হলে তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে সে আলোচনায়।
গতকাল শেষ দিনে সাধারণ বিমাও দলবদল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এদিন আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব কর্মকর্তাদেরও ফাইলপত্র নিয়ে আসতে দেখা গেছে। সোনালী ব্যাংকের মতো আজাদের দলবদল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু ক্লাবটির এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ‘শেষ মুহূর্তে ক্লাবের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ শেষ দিন হকি ফেডারেশনে আসা বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের দেহের ভাষায় শতস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা যায়নি। টার্ফের লড়াই শুরুর আগে বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের দেহের ভাষায় পরিষ্কার হয়েছে, কেবল নামসর্বস্ব অংশগ্রহণের জন্যই ঘরোয়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটা অনেকের কণ্ঠেও স্পষ্ট হলো।
ঊষা ক্রীড়াচক্রের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কামাল বলছিলেন, ‘আমরা তারুণ্য নির্ভর দল গড়েছি। এ দলের সঙ্গে বিদেশি সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেখা যাক, কতোদূর কী হয়।’ রাসেল মাহমুদ জিমি বলেছেন, ‘ঊষা প্রিমিয়ারে ফিরে আসায় এবার লিগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই বিশ্বাস করি।’ সে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আভাস অবশ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এবারের লিগে মাঝারি সারির একটি দল গঠনের দায়িত্বে থাকা জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় কালবেলাকে বলছিলেন, ‘৩-৪ লাখ টাকা পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করা খেলোয়াড় ১ লাখ টাকার নিচে পারিশ্রমিকে চুক্তি করেছেন। শীর্ষ পর্যায়ের দুয়েকজন ছাড়া বাকিরা খেলছেন নামমাত্র পারিশ্রমিকে। ঘরোয়া কার্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তারাও খুশি নন, সন্তুষ্ট নন খেলোয়াড়রাও।’
মন্তব্য করুন