চাকরিকে বাড়তি চাপ মনে করেন অনেকে। অনেক সময় বেসরকারি চাকরিজীবীদের অফিস সময়ের বাইরেও অনেক কাজ করতে হয়। থাকে না কোনো কাজের পরিধি। তাই বলে যানজটে স্কুটারে বসেও অফিসের কাজ! শুনতে অবাক লাগলেও এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে। যানজটের মধ্যে স্কুটারে বসে অফিস করছেন এক নারী। এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রোববার (২৮ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, যানজটে আটকা পড়েছেন এক নারী। এ সময় স্কুটারে নিজের ফোনে মগ্ন থাকতে দেখা যায় তাকে। পরে খেয়াল করলে দেখা যায়, নিজের মোবাইলে জুম অ্যাপে সংযুক্ত রয়েছেন তিনি। অর্থাৎ যানজটের মধ্যেই অফিসের কাজ করছেন তিনি।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘যানজটে থেকেও অফিসের কাজ। এগুলো এখন ব্যাঙ্গালুরুর স্বাভাবিক ঘটনা।’ বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর। এলাকাটি একের পর এক বিচিত্র ঘটনার জন্য আলোচনায় আসছে।
যানজটে বসে অফিসের কাজের এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর এতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটির মাধ্যমে কাজের ক্রমবর্ধমান প্রকৃতি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা এবং দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার সঙ্গে পেশাদার প্রতিশ্রুতির ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি এমন ঘটনা প্রকাশ হয়েছে।
சாலையிலும் வேலை வேற என்ன பண்றது அது சரி சிக்னல பாருங்கடாண்ணா இவனுங்க எதுக்கு என்னையே பார்த்துக்கொண்டு இருக்கிறானுங்கள் pic.twitter.com/CiMo58flEQ — SHAAN SUNDAR ️️ (@Sun46982817Shan) April 23, 2024
এর আগে স্কুটার চালানো অবস্থায় ল্যাপটপ খুলে এক প্রযুক্তিকর্মীর কাজ করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রযুক্তিকর্মী হিসেবে কর্মরত লোকটি তার কোলে একটি ল্যাপটপ খুলে রেখেছেন। সেখানে মাইক্রোসফ্ট টিমের মিটিংয়ের বিবরণ দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর দায়িত্বশীল কাজের অনুশীলন এবং নিরাপদ যাতায়াতের অভ্যাস সম্পর্কে নাগরিকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দেয়।
পিক বেঙ্গালুরু নামের একটি এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশন দেওয়া হয়, বেঙ্গালুরু ইজ নট ফর বিগেনার্স। সেই ভিডিওর নিচে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ওই ব্যক্তির জন্য সহমর্মিতা দেখানোর পাশাপাশি বিনোদনমূলক মন্তব্যও করছেন।
এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে লিখেন, ভাই নিশ্চয়ই কোনো প্রযুক্তি কোম্পানির হয়ে কাজ করেন এবং তার সাপ্তাহিক নির্ধারিত ৭০ কর্মঘণ্টার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছেন। আরেকজন লিখেন, উৎপাদনশীলতার তড়ঙ্গে করে যাতায়াত। এক ব্যবহারকারী লিখেন ক্লায়েন্টের কল ও মৃত্যু যে কোনো সময় আসতে পারে। একজন লিখেন এতদিন শুনেছি ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স এখন দেখছি ওয়ার্ক-বাইক ব্যালেন্স।
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আজকাল মানুষ যে ধরনের কাজের চাপের সম্মুখীন হচ্ছে তা অকল্পনীয়, তাই এ ধরনের বিকল্প খুঁজে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। একজন লিখেছেন ল্যাপটপ তার বর্ণনা অনুযায়ী যথাযথভাবেই ব্যবহার হচ্ছে।
মন্তব্য করুন