জুন মাসে বিটিআরসির নতুন লাইসেন্স নীতিমালা এবং ১ জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য বুক প্রাইসিং নিয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে। এরপরও ইন্টারনেট সেবার দাম না কমালে সেবার মান, অমীমাংসিত বকেয়া পাওনা ও প্রদত্ত সুবিধা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পুনঃবিবেচনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসিতে আয়োজিত বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী, টেলিকম মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব মো. জহিরুল ইসলাম ও আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশের গ্রামীণ এলাকা এখনো নগরের তুলনায় পিছিয়ে। এই বৈষম্য দূর করতে এবং তরুণদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানাতে সরকার ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এবারের মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চত্বরে। ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প বাদ দিয়ে বাস্তবমুখী বিনিয়োগে জোর দিচ্ছি। এর ফলে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ও খুলনা ক্যাবল কোম্পানি ইতোমধ্যে লাভবান হয়েছে। এনজিএসও লাইসেন্সের আওতায় স্টারলিংক এখন বিএসসিসিএলের কাছ থেকে দুই টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ নিচ্ছে, যার ফলে বিএসসিসিএল তিন মাসের মধ্যে দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ আরও বলেন, নতুন প্রকল্পের জন্য বাজেট না বাড়িয়ে পুরোনো প্রকল্পগুলোকেই সামনে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে টাওয়ার ও ঘরে ঘরে টেলকো ফাইবার পৌঁছানোর কাজ চলমান রয়েছে। ইন্টারনেটভিত্তিক সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়াতে অ্যাপ নির্ভর ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য জুনের প্রথম ভাগেই নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুমোদন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার নতুন করে ডিটিএইচ লাইসেন্স দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে বুধবার ৪০ মিনিট নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্নতার কারণ জানতে বিটিআরসি গ্রামীনফোনকে শোকজ করেছে বলেও জানানো হয়।
মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বাজারকে প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত রাখতে চাই, যাতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দাম নির্ধারণ হয়। এ সময় স্টারলিংকের ইন্টারনেট প্রাইসিং নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো তাদের মূল্য কাঠামোর প্রস্তাব দেওয়ার পর্যায়ে যায়নি।
মন্তব্য করুন