কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যেসব চাকরিতে এআই মানুষের বিকল্প হতে পারবে না

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই প্রযুক্তি পৃথিবীকে এক নতুন বাস্তবতায় দাঁড় করিয়েছে। যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেওয়া থেকে শুরু করে কবিতা লেখা, রান্নার রেসিপি সাজানো কিংবা জটিল গণিত সমাধান— সবকিছুতেই এখন হাতের মুঠোয় এআই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট, অফিসের রিপোর্ট, এমনকি সৃজনশীল কাজেও এর ব্যবহার বাড়ছে। ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রমেই এআইয়ের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে।

ফলে চাকরির বাজারে দেখা দিচ্ছে বড় পরিবর্তন। মাইক্রোসফটের মতো প্রযুক্তি জায়ান্ট থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসা, সব জায়গাতেই মানুষের কাজের বিকল্প হয়ে উঠছে এআই। তাই যে সেক্টরেই কাজ করুন না কেন, মাথার ওপর অদৃশ্য খাঁড়া হয়ে ঝুলছে এআইয়ের দাপট।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আগামী দিনে চাকরি ও দক্ষতার ওপর আরও গভীর প্রভাব ফেলবে এআই। এতে যেমন উদ্বেগ আছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে কিছু নতুন সুযোগও।

রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বেন সৃজনশীলতার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। কারণ এআইয়ের তৈরি কনটেন্টে মৌলিকত্ব কম থাকলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের কাজকে সরাসরি প্রতিস্থাপন করছে। এতে মৌলিক কাজের স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে অফিস ক্লার্ক, রিসেপশনিস্ট, বুককিপার, সেলস ও মার্কেটিং কর্মী, বিজনেস অ্যানালিস্ট ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের চাকরি দ্রুত হ্রাস পাবে। এসব কাজের বড় অংশই এআই করে ফেলবে।

তবে সব জায়গায় যে এআই মানুষের বিকল্প হতে পারবে, তা নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ আরও বাড়বে। বিশেষ করে ক্লিনার, লন্ড্রি কর্মী, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সেফটি, বিজনেস অ্যাডমিন ম্যানেজার, শ্রেণিকক্ষ শিক্ষক, কনস্ট্রাকশন ও মাইনিং লেবার এবং হসপিটালিটি খাতে কর্মসংস্থানের চাহিদা বাড়বে। এসব খাত মূলত হাতেকলমে কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এআই সেখানে মানুষের জায়গা নিতে পারবে না।

নতুন কর্মজীবীদের জন্যও রয়েছে বিশেষ পরামর্শ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুককিপিং, মার্কেটিং বা প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাজে না গিয়ে নার্সিং, কনস্ট্রাকশন কিংবা হসপিটালিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়লে চাকরির নিরাপত্তা বেশি থাকবে।

এ ছাড়া ভয়েস আর্টিস্টদের জন্যও তৈরি হচ্ছে বড় সংকট। কারণ কণ্ঠ রেকর্ডিংয়ের কাজও এখন এআই দিয়েই করা হচ্ছে। ফলে এই খাতে অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিখোঁজের পরদিন রেললাইনের ঝোঁপে মিলল ব্যবসায়ীর লাশ

নুরের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘সময়সীমা’ বেঁধে দিল গণঅধিকার পরিষদ

সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ারকে শোকজ

দালাল ও দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য দৌলতপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

২৫ সনাতন ধর্মাবলম্বীর জামায়াতে যোগদান

আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে যে দাবি করলেন রিজভী

শিক্ষার উন্নয়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ : আনোয়ার

বিএনপি আজ হোক কাল পিআর সিস্টেমে নির্বাচন দাবি করবে : ফয়জুল করীম

রামপুরা খালের ওপর হবে ফরহাদ মজহার সেতু

এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে অল্পতেই থামল পাকিস্তান

১০

রাশিয়ায় ভয়াবহ পাল্টা হামলা ইউক্রেনের

১১

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মহারণেও শূন্য আসন, প্রশ্ন তুলছে সমর্থকরা

১২

ঢামেকে ৬ যমজ শিশুর জন্ম, একটির মৃত্যু

১৩

বিএনপির এক নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১৪

‘ঘুষের টাকা’ ফেরত চেয়ে ভূমি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ

১৫

অবশেষে ক্ষমা চাইল ইবি ছাত্রশিবির

১৬

হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা শনাক্তের যত কৌশল

১৭

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় জামায়াত 

১৮

গাজাবাসীর জন্য বড় সুবিধা চালু করল যুক্তরাজ্য

১৯

ভারতীয় বোলারদের সামনে টালমাটাল পাকিস্তান

২০
X