চার জেলায় ৪ নারী ও শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামের এক নৃত্যশিল্পী, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর গ্রামে এক কিশোরী এবং সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বুধবার (১৭ এপ্রিল) একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ এপ্রিল এক বিয়ে অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নৃত্যশিল্পী। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত এমদাদুল মোক্তারের মুদি দোকান থেকে কোমল পানীয় জাতীয় জিনিস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর গ্রামে অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন কৌশলে ঘরে ঢুকে কিশোরীর ধর্ষণ করে। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে রাসেল নামে এক যুবক ধর্ষণ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী ও কন্যাশিশুরা ঘরে-বাইরে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণের মত সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ ধরণের সহিংসতার ঘটনায় নারী ও শিশু কন্যাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন ও তাদের নিরাপত্তা হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহিলা পরিষদ ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে।
সেইসঙ্গে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনাীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন