কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুরুষের কাজ শিখে বিপাকে তরুণী, পাচ্ছেন না চাকরি!

তিউনিশিয়ান তরুণী আল-ছাওয়াদি। ছবি : সংগৃহীত
তিউনিশিয়ান তরুণী আল-ছাওয়াদি। ছবি : সংগৃহীত

‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’। মানবসভ্যতার বিকাশে নর-নারীর ভূমিকা ঠিক এভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আল্লাহ তায়লাও নর-নারীকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। তাই নারী ও পুরুষ চিরকালের সার্থক সঙ্গী, মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

কিন্তু কিছু কাজ এখনো যেন শুধু পুরুষেরই হয়ে রয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। কেউ কেউ সেই ছক বাঁধা নিয়মের শেকল ভেঙেছেন। অনেকে চাইছেন ভাঙতে। তাদেরই একজন ঘাদা আল-ছাওয়াদি। নারীরাও যে পুরুষের কাজ করতে পারে, তা করে দেখাবার পণ করেছেন তিনি।

সব বাধা অতিক্রম করে চ্যালেঞ্জিং কাজকে পেশা হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন ২০ বছর বয়সী আল-ছাওয়াদি। তিউনিশিয়ার এই তরুণী দৃঢ় সংকল্প আর নিজের দক্ষতা নিয়ে কর্মকার ও ওয়েল্ডিংয়ের মতো কাজ করে যাচ্ছেন অনায়েসে। পুরুষের আধিপত্য থাকা এই পেশায় তিনি নিজে থেকেই এসেছেন। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাজের প্রচারণা চালান আল-ছাওয়াদি নিজেই।

আল-ছাওয়াদি সিদ্ধান্ত নেন তিনি মেশিনারি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফরমেশনের ওপর বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নেবেন। সেই ভাবনা থেকেই একটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন তিনি। সেখানে কর্মকার ও ওয়েল্ডিং শিখছেন আল-ছাওয়াদি। তিনিই একমাত্র তরুণী যে এই ট্রেনিং নিতে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হয়েছেন।

ট্রেনিং শেষে আল-ছাওয়াদির অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। তার ভাষায়, আমার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি শেষে, আমি কোথাও চাকরি খুঁজে পাচ্ছি না। আমি মেয়ে তাই তিউনিশিয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানই আমাকে চাকরি দিতে চাইছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান তো আমাকে তাদের অফিসে ঢুকতেই দেয়নি। চাকরি খুঁজতে গিয়ে প্রতিবারই আমাকে শুনতে হয়েছে, মেয়েদের জন্য এই পেশায় কর্ম খালি নেই।

সংবাদমাধ্যম ভায়োরি নিউজকে তিনি বলেন, মানুষ আমাকে গ্রহণ না করলেও আমি আমার আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে যাব। আমি চাকরি খুঁজতেই থাকব। একদিন কেউ আমাকে চাকরি দেবে, আমার এই আত্মবিশ্বাস রয়েছে।

নারী হওয়ায় অনেকেই আল-ছাওয়াদির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন। কিন্তু ট্রেনিং স্টেশন ভালোভাবেই উতরে গেছেন এই তরুণী। এমনকি কানাডার কর্তৃপক্ষ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো যে মূল্যায়ন করেছিল তাতেও ভালো করেছেন আল-ছাওয়াদি। এজন্য তাকে ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল কার্ডও দিয়েছে তারা।

কর্মকারের এই পেশার প্রতি ছোটবেলা থেকেই নেশা তৈরি হয়েছিল আল-ছাওয়াদির। বাবার হাত ধরে তার কর্মস্থলে আসতেন তিনি। আবার পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এই কাজে হাতেখড়িও হয় আল-ছাওয়াদির। তখন থেকেই বাবাকে সাহায্য করছেন তিনি। আর আল-ছাওয়াদির বাবাও তাকে শিখিয়েছেন এই পেশার সব ‘গোপন’ রহস্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভালোবেসে বিয়ে, ৫ মাসের মাথায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাকে অব্যাহতি

২০১৮ সালের নির্বাচনের বদনাম ঘোচাতে চায় পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে চেলসির বড় জয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

১০

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

১১

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

১২

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

১৩

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১৪

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১৫

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১৬

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৭

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৮

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৯

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

২০
X