দুই মাস ধরেই ফ্রান্সের সঙ্গে টানাপড়েন চলতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের। এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার হঠাৎ নাইজার থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে ও সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে ঘোষণা দেওয়ার দুদিন পার হলেও ফরাসি রাষ্ট্রদূতের নিয়ামি ত্যাগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত জুলাই মাসের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নাইজারের নতুন জান্তা সরকারের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এ ছাড়া দেশটির জনগণের মধ্যেও ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব বেড়ে চলেছে। নাইজার থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারে রাজধানী নিয়ামির ফরাসি সেনাঘাঁটির সামনে পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছেন তারা।
জনগণের ফ্রান্সবিরোধী এই মনোভাবের সুযোগে অভ্যুত্থানের পরপরই ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনাদের নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেয় জান্তা সরকার। এরপর রাষ্ট্রদূতের ভিসা প্রত্যাহার করে তাকে বহিষ্কার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে জান্তা সরকারের এমন পদক্ষেপের পরও নাইজারেই অবস্থান করছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনারা।
ম্যাখোঁ বলেন, নাইজার থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। কয়েক ঘণ্টা পরই আমাদের রাষ্ট্রদূত ও বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা শেষ হয়েছে। সে দেশে থাকা দেড় হাজার ফরাসি সেনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হবে। এ কাজ চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে।
তবে রয়টার্স বলছে, ম্যাখোঁর এমন ঘোষণার দুদিন পার হলেও ফরাসি রাষ্ট্রদূতের নাইজার ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। মঙ্গলবার নিয়ামির ফরাসি দূতাবাসে কোনো অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডও চোখে পড়েনি।
আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূতকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিংবা এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্ন করা হলে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যান-ক্লেয়ার লেজেন্ড্র কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি রাষ্ট্রদূত এখনো নিয়ামিতে অবস্থান করছেন কিনা এবং দূতাবাসে কতজন কর্মকর্তা এখনো সেখানে আছেন— সে সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি।
মন্তব্য করুন