বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাকরিতে নতুন নিয়ম, ২ মিনিটের বেশি বাথরুমে থাকলেই শাস্তি!

শৌচাগারে কর্মীদের এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ছবি : সংগৃহীত
শৌচাগারে কর্মীদের এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কিছু না কিছু নিয়ম-কানুন থাকে, যার মাধ্যমে কর্মীদের কাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়। তবে সম্প্রতি চীনের একটি প্রতিষ্ঠান যে নতুন নিয়ম চালু করেছে, তা বেশ অবাক করেছে সবাইকে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির গুয়াংডং প্রদেশের ‘থ্রি ব্রাদার্স মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ তাদের কর্মীদের জন্য একটি অদ্ভুত শৌচাগার ব্যবহারের নিয়ম ঘোষণা করেছে, যার ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শৌচাগারে মলত্যাগ বা প্রস্রাব করতে গেলে কর্মীদের মুক্ত সময় মাত্র দুই মিনিট। দুই মিনিটের বেশি সময় শৌচাগারে কাটানো যাবে না। প্রতিষ্ঠানটির নতুন ‘টয়লেট ইউসেজ ম্যানেজমেন্ট রুল’ অনুযায়ী, কর্মীদের শৌচাগারে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। কর্মীদের এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

যদি কোনো কর্মী শারীরিক কারণে নির্ধারিত দুই মিনিটের বেশি সময় শৌচাগারে থাকতে চান, তবে তাকে এইচআর (মানবসম্পদ) বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে, অনুমতি ছাড়া কেউ যদি দুই মিনিটের বেশি সময় শৌচাগারে কাটাতে চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যদিও সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। কর্মীদের শৌচাগারে যাওয়ার জন্য শুধু সময়ের সীমা নয়, নির্দিষ্ট স্লটও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিটি কর্মীকে তার নির্ধারিত সময়ে শৌচাগারে যেতে হবে।

এই নতুন নিয়মের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিশেষত কর্মী ইউনিয়নগুলো এই নিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা বলছেন, এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এবং তাদের জন্য অমানবিক।

বিভিন্ন কর্মীও এই নিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তবে কিছু কর্মী জানিয়েছেন, তাদের এজেন্সি থেকে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি, যার মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা হতে পারে।

কিছু কর্মীর মতে, এই ধরনের কঠোর নিয়মের উদ্দেশ্য কর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, তবে বাস্তবতা হলো, এই নিয়ম কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কর্মীদের এমন ব্যক্তিগত প্রয়োজনের সময় নিয়ন্ত্রণ করার ফলে তারা মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে পারেন এবং তাদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

১০

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

১১

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

১২

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

১৩

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

১৪

জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা

১৫

দুই বছর আগের মামলায় নতুন করে ‘আসামি’ সাংবাদিক

১৬

বদলির আদেশের ৩ সপ্তাহ পরও অফিস করছেন রাসিক সচিব

১৭

অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন

১৮

চার দিন ধরে নিখোঁজ বিকাশ কর্মী ওমর ফারুক

১৯

ওসির বিরুদ্ধে দুর্বল ধারার অভিযোগ, আ.লীগ নেতার ৩ সন্তানের জামিন

২০
X