ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানিস্তানের সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (৩১ আগস্ট) দেশটিতে আঘাত হানা ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৮১২ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকর্মীরা সোমবার রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা দুর্গম এলাকায় পৌঁছানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের ব্যাপক বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুনার প্রদেশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে কিছু শিশুও রয়েছে। তাদেরকে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে শেষ বিদায় জানাতে জানাজা আদায় করেন স্থানীয়রা। এ সময় তাদের পাশেই হেলিকপ্টার দিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর কাজ চলে।
২২ বছর বয়সী জাফর খান বলেন, আমাদের ঘর পুরোপুরি ভেঙে গেছে। কয়েকজন শিশু নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের রপ জাফর তার ভাইয়ের সঙ্গে জালালাবাদের নুরগালে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও তার পা ভেঙে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই দুর্যোগ যুদ্ধবিধ্বস্ত তালেবান প্রশাসনের সম্পদকে আরও কঠিন চাপে ফেলবে। কারণ দেশটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অনেক আফগানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফলে নতুন করে চাপে পড়েছে তালেবান সরকার।
কাবুলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সারাফাত জামান বলেন, ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা আন্তর্জাতিক সনহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৬ মাইল গভীরে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রয়টার্সকে তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, কারণ অনেক মানুষ মারা গেছে এবং অনেকে তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে।
তালেবান সরকার প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কুনার এবং নানগাহারে ৮১২ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সম্পর্কিত সমন্বয়ক কেট ক্যারি বলেন, এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে নতুন করে ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও ভূমিকম্পের ফলে ইতোমধ্যে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন