চীনের নতুন ‘কে ভিসা’ মূলত বিদেশি বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, ইঞ্জিনিয়ার ও গণিতজ্ঞদের জন্য। যারা চীন বা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, বা শিক্ষকতা বা গবেষণায় নিয়োজিত, তারা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক।
‘কে ভিসা’ আসলে চীনের ২০১৩ সালে চালু হওয়া ‘আর-ভিসা’র বিস্তারিত সংস্করণ। এই ভিসার মাধ্যমে যেসব বিদেশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত, তারা চীনে পড়াশোনা, গবেষণা, শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, কোনো চীনা নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণপত্র ছাড়া আবেদন করা যাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বড় বিনিয়োগ করেছে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মহাকাশ অভিযান, ধাতুবিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে। ভারতীয় প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের জন্য এটি নতুন সুযোগ তৈরি করছে, বিশেষ করে যারা সিলিকন ভ্যালি বা যুক্তরাষ্ট্রের ‘এইচ-১বি’ ভিসার সীমাবদ্ধতায় পড়ে আসছিলেন।
‘কে ভিসা’-র প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। দেশে প্রবেশ, বসবাস এবং কাজের ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা বেশি সুবিধা পাবেন। সদ্য স্নাতক, গবেষক বা শিল্পদ্যোগীরা চাকরির অফার না থাকলেও চীনে গিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিতে পারবেন।
মন্তব্য করুন