বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনী মাঠ এখন উত্তপ্ত অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী গতকালই প্রায় ৩০টি আপত্তি জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে। সেই তালিকায় জায়গা পায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাউন্সিলশিপ নিয়েও প্রশ্ন।
আজ আপিল শুনানিতে অংশ নিতে বিসিবি কার্যালয়ে হাজির হন তামিম। শুনানি শেষে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে নির্বাচন হোক, আমি হারলেও সমস্যা নেই, সভাপতি যেই হোন তাতেও আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু ব্যক্তিগত ইগো বা জেতার লোভে নোংরামি করবেন না। এখানে ১৮ কোটি মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই বিনীত অনুরোধ, এই নোংরামিগুলো বন্ধ করুন।’
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন তামিম। এবার তিনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন। তবে তার দাবি, কিছু পক্ষ ইচ্ছে করেই নির্বাচনকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।
প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সহ-সভাপতি তামিম ইকবাল গতকাল কাউন্সিলর মনোনয়নের আবেদন করেন। কিন্তু কমিশন ক্যাটাগরি-২-এর ১৫টি ক্লাবের প্রতিনিধিকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘১৫টা ক্লাব নিয়ে একটা ইস্যু আছে। আমি এর একটির সহ-সভাপতি। তাই আজ এখানে আসি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, ১৫টা ক্লাবের চেয়েও বড় ব্যাপার হলো—এখানে ৩০০ ক্রিকেটারের জীবিকা জড়িত। সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ১৫টা ক্লাব নিয়মিত ক্রিকেট খেলে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়। ওই টাকা দিয়েই অনেক ক্রিকেটারের বার্ষিক আয়ের ৭০-৮০ শতাংশ জোগাড় হয়। শুধু ক্রিকেটাররা নয়, তাদের পরিবারও এর সঙ্গে জড়িত। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বাস্তবতাটা গুরুত্ব সহকারে দেখা দরকার।’
মন্তব্য করুন