ডেনমার্কে দুইটি প্রধান বিমানবন্দর ও কিছু সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনায় দেশটি সতর্ক অবস্থানে এসেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস লুন্ড পোলসেন হামলাগুলোকে ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত হামলার পেছনে দায় কে নিয়েছে তা জানা যায়নি। খবর রয়টার্সে
র।ডেনমার্ক বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর মধ্যে একটি। উচ্চমানের জীবনযাপন, সামাজিক সমতা, কম দুর্নীতি ও শক্তিশালী সামাজিক কল্যাণের জন্য ডেনমার্ক বিশ্বে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, বিলুন্ড বিমানবন্দর এক ঘণ্টা এবং অ্যালবর্গ বিমানবন্দর তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এ ছাড়া এসবজার্গ, সোনডারবর্গ, স্ক্রাইডস্ট্রাপ বিমানঘাঁটি এবং হোলস্টেব্রো অঞ্চলের সামরিক স্থাপনায়ও ড্রোন দেখা গেছে। এ সব স্থাপনাগুলো পশ্চিম ডেনমার্কের জুটল্যান্ড উপদ্বীপে অবস্থিত।
প্রতিবেশী মর্টেন স্কোভ জানান, অ্যালবর্গ বিমানবন্দরের পশ্চিমে সবুজ আলো ঝলমল করছে এমন কিছু ড্রোন তিনি দেখেছেন। ড্রোনগুলো বিমানবন্দর ছাড়িয়ে পশ্চিম দিকে চলে গেছে। পুলিশ বলছে, এই ড্রোনগুলো কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক হামলার মতোই প্যাটার্নে চলছিল।
প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন এই ঘটনাকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সবচেয়ে গুরুতর হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটি সম্ভবত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে রাশিয়ার ডেনমার্ক দূত ভ্লাদিমির বারবিন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পোলসেন বলেন, ন্যাটোর আর্টিকেল ৪-এর অধীনে পরামর্শ আনার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এই ধারার মাধ্যমে মেম্বর দেশগুলো নিরাপত্তা নিয়ে যে কোনো সমস্যা আলোচনা করতে পারে। ডেনমার্ক সম্প্রতি রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় দীর্ঘ পাল্লার সঠিক লক্ষ্যযুক্ত অস্ত্র সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে, যা দেশের প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন