সাভারের হেমায়েতপুরের গোয়ালপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি প্রতিরোধে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বিএনপি নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। বর্তমানে তারা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন—স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. বাহারাইন ওরফে বাহারন বাদশা (৪৫), তার ভাতিজা নাঈম (৩৫) এবং গ্যারেজ ম্যানেজার সিফাত (২৫)।
অভিযোগকারী বাহারন বাদশা জানান, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ভাতিজা নাঈমের অটো গ্যারেজের সামনে দুজন যুবক মাতাল অবস্থায় এসে চাঁদা দাবি করে এবং জোরে হর্ন বাজাতে থাকে। চাঁদা দিতে অস্বীকার এবং হর্ন বাজানো বন্ধ করতে বললে তারা ম্যানেজার সিফাতকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা নিজেদের মোশারফ বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে সরে যায়।
পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই মোশারফের ছোট ভাই রাসেলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা লোহার রড, পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্যারেজে ভাঙচুর চালায় এবং তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহতদের প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাহারন বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হেমায়েতপুরে মোশারফ বাহিনীর কাছে আমরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছি। একাধিক অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি হয়েও তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি নেতার ওপর হামলার ঘটনায় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তাদের অভিযোগ, মোশারফ ও তার ভাইয়েরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও জুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষ দিন দিন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন