চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই) ইনিশিয়েটিভ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেইজিংয়ে গেছেন পুতিন। খবর আলজাজিরার।
এবারের এই ফোরামে পুতিন ছাড়াও বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশের নেতারা যোগ দেবেন। তবে যে লক্ষ্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন তা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিছুটা ম্লান হতে পারে।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুতিনের প্রথম বিদেশ সফরের মধ্যে একটি চীন। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তান সফর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
চলতি বছরের মার্চে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এর ফলে আইসিসির সদস্য দেশে গেলে পুতিন গ্রেপ্তার হতে পারেন। আইসিসির এমন পদক্ষেপের পর দেশের বাইরে তেমন পা রাখেননি তিনি। এরপর চলতি মাসের শুরুতে কিরগিজস্তান এবং এখন চীন সফর করছেন পুতিন। চীন ও কিরগিজস্তান আইসিসির সদস্য দেশ নয়। ফলে সেখানে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর পর থেকে পশ্চিমাদের সমালোচনা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে বেইজিং। চীন বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা আন্তর্জাতিক আইনকানুন লঙ্ঘন করেনি। কেননা যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অধিকার তাদের আছে। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
চলতি বছরের মার্চে রাশিয়ায় শি ও পুতিনের সবশেষ দেখা হয়েছিল। মার্চে মস্কো সফরের সময় শি পুতিনকে বলেছিলেন, বর্তমানে এমন কিছু পরিবর্তন হয়েছে, যা ১০০ বছরেও হয়নি। আমরা একসঙ্গে এই পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
পুতিন সবশেষ চীন সফর করেছিলেন ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ঠিক কয়েক দিন আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন দুই দেশের ‘সীমাহীন বন্ধুত্ব’ নিয়ে ৫ হাজার শব্দের একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন শি-পুতিন।
মন্তব্য করুন