মিয়ানমারে একের পর এক বিপাকে পড়ছে জান্তা। ক্ষমতা দখলের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় পার করছে দেশটির সামরিক প্রশাসন। এবার জান্তার আরও তিন সামরিক ঘাঁটি দখলে নিয়েছে দেশটির এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। মঙ্গলবার মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের মিনবায়ার তিনটি ঘাঁটিই আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। এ সময় সেখানকার অনেক সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আত্মসমর্পণ করা এ লোকের সংখ্যা ৫০০-এর বেশি। তাদের মধ্যে ডিভিশন কমান্ডার, নন কমিশন অফিসারসহ মিনবায়ার জান্তার বিভিন্ন স্তরের বিভাগীয় প্রধানরা রয়েছেন। আত্মসমর্পণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে সেনাদের পরিবারসহ অন্তত ১০০ জন আহত ব্যক্তি রয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, গতকাল থেকে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজন ডিভিশন কমান্ডারসহ অন্তত ১০০ আহত সেনা রয়েছেন। তবে সেনাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়। তারা সকলে আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেখানকার ৩৭৯নং পদাতিক ব্যাটালিয়ন অবশিষ্ট ছিল। সোমবার এ শাখাটিও আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শতাধিক যুদ্ধাপরাধীসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের আরাকান আর্মি চারটি গাড়িতে করে নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৩৭৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও রয়েছেন।
এর আগে সোমবার মিয়ানমার নাউ জানায়, সোমবার কাচিন প্রদেশে সেনাবাহিনীর আরও দুটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। কাচিন ইন্ডিপেনডেন্টস আর্মি (কেআইএ) ও কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-এর যৌথবাহিনী রাজ্যের এইচপাকান্ত এবং মানসি শহরে দুটি জান্তা ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কেআইএ ও কাচিন পিডিএফের যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর নামতিন ঘাঁটি ঘেরাও করে হামলা চালায়। জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীর মধ্যে একটানা ৪ ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। একপর্যায়ে জান্তা বাহিনীর সেনারা রণেভঙ্গ দিলে বিদ্রোহীরা ঘাঁটিটি দখলে নেয়। নামতিন ঘাঁটি ছাড়াও এ দিন মানসি শহরের আরেকটি ঘাঁটি দখলে নেয় বিদ্রোহীরা।
মন্তব্য করুন