কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এক অস্ত্রেই গোটা বিশ্বকে চোখ রাঙাচ্ছে ইরান

সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি : সংগৃহীত
সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর মোট বাণিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগই হয় সমুদ্রপথে। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রণালি বেশ গুরত্ব রাখে। ২০২১ সালে একটি জাহাজ আটকে সুয়েজ খাল ছয় দিন বন্ধ থাকায় বিশ্ব অর্থনীতি এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আর এই খালের চেয়ে বেশি গুরুত্ব রাখে মধ্যপ্রাচ্যের হরমুজ প্রণালি।

এ প্রণালি ছাড়া পারস্য উপসাগর পাড়ি দেওয়ার কোনো পথ নেই। এ উপসাগর ঘিরেই রয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইরান, ইরাক আর ওমান।

বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ জ্বলানি চাহিদা রয়েছে তার ১৫ শতাংশই মিটিয়ে থাকে উপসাগরীয় এসব দেশ। আর প্রতিদিন যে পরিমাণ জ্বালানি রপ্তানি হয় তার এক পঞ্চমাংশ তথা ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি হয় এ পথে।

বলা হয়ে থাকে, উপসাগরীয় অঞ্চলে পৃথিবীর মোট জীবাশ্ম জ্বালানির প্রায় অর্ধেক সঞ্চিত আছে। পারস্য উপসাগরের নিচে এবং উপসাগরীয় এসব দেশে পৃথিবীর মোট প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০ শতাংশ জমা।

এসব জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করতে পাড়ি দিতে হয় হরমুজ প্রণালি। আর এ প্রণালি হয়েই এসব জ্বালানি মধ্যপ্রাচ্য থেকে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে পৌঁছায়।

ফলে এ প্রণালি যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে থমকে যাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির চাকা। পরাস্য উপসাগরের জ্বালানি ছাড়া বহু দেশের অর্থনীতিই হোচট খাবে।

চীনের ৪৫ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানি আসে হরমুজ প্রণালি হয়ে, জাপানের ক্ষেত্রে এটি ৪৮ শতাংশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে এটি ৩০ শতাংশ।

এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র ইরান বাদে উপসাগরীয় প্রতিটি দেশই আমেরিকার দাসে পরিণত হয়েছে। তাই কোনোভাবেই তেহরানের হাতে এ প্রণালির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ দিতে চায় না ওয়াশিংটন।

এমনকি গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথ রক্ষায় উপসাগরজুড়ে গড়েছে অসংখ্য সামরিক ঘাটি ও স্থাপন করেছে পঞ্চম নৌবহর।

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকাকে ঠেকাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। এমনকি মজুত রেখেছে বিপুল পরিমাণ জলমাইন।

যাতে কোনো সংঘাত হলে মুহূর্তেই বন্ধ করে দেওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ এ হরমুজ প্রণালি। ইরান জানায়, পশ্চিমা অবরোধের কারণে ইরান যদি তেল বিক্রি করতে না পারে তবে কোনো উপসাগরীয় দেশই তা করতে পারবে না। হয়তো এমন হুমকির কারণেই ইরানকে খুব বেশি ক্ষেপাতে চায় না আমেরিকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান ইসরায়েল হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাঠেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তরুণ ফুটবলার

‘তৎপরতা জানান দিতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, ৩ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার’

জার্মান চ্যান্সেলরকে তুলোধুনো করলেন এরদোয়ান

অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীরের ক্ষতি করছে নাতো!

স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারালো পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ

অভিনেতা মন্টুর ছেলেসহ তিন সহযোগী কারাগারে

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিবন্ধিত কি না, যেভাবে জানবেন

ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সহজ জয়

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৭৯০

১০

সম্পর্কের মূল চাবিকাঠিই ‘ব্যক্তিগত সম্মান’

১১

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

১২

বসুন্ধরা কিংস ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কুয়েতে সাংবাদিকদের অসহযোগিতার অভিযোগ

১৩

ক্রিকেট মাঠ থেকে এবার মন্ত্রিসভায় ভারতের সাবেক অধিনায়ক

১৪

এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ কত সিম, কবে থেকে কার্যকর

১৫

সুস্থ থাকার জন্য ৫ সহজ দৈনন্দিন অভ্যাস

১৬

ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১৭

ভৈরবকে জেলার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায়

১৮

টাকা দিয়ে নেতাকর্মীদের মিছিল করায় আ.লীগ 

১৯

জকসু নির্বাচন সামনে রেখে জবি ছাত্রদলের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

২০
X