..
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রেমিককে দিনে ১০০ বার কল, অতঃপর...

প্রেমিককে মোবাইল ফোনে না পেয়ে বিষণ্ন এক তরুণী। প্রতীকী ছবি
প্রেমিককে মোবাইল ফোনে না পেয়ে বিষণ্ন এক তরুণী। প্রতীকী ছবি

আঠারো বছরের এক চীনা তরুণী দিনে ১০০ বার প্রেমিককে কল করেন। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পুলিশকে খবর দেন প্রেমিক। পুলিশের উপস্থিতিতে তরুণী করে বসেন আরেক কাণ্ড।

এরপর ওই তরুণীকে পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি ‘প্রেম রোগে’ ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা এই রোগের নাম দিয়েছেন ‘লাভ ব্রেন’।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়াওয়ু নামের ওই তরুণী অতিমাত্রায় প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল।

প্রতিনিয়ত প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন। তার ইচ্ছেমতো যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেই উচ্ছৃংখল আচরণ করতেন। হয়ে পড়তেন বিষণ্ন। ভাঙচুর করতেন আসবাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বর্ষ থেকেই তার মধ্যে এ ধরনের আচরণ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ে। তবু প্রেমিক সহ্য করে যাচ্ছিলেন।

কিন্তু সর্বশেষ ঘটনার দিন ওই তরুণী প্রেমিককে ১০০ বার কল করেন। প্রেমিক তা রিসিভ না করায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ভাঙচুর শুরু করেন আসবাব। চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার পাগলের মতো আচরণে ভীত হয়ে পড়েন প্রেমিক। খবর দেন পুলিশে।

পুলিশ এলে তরুণী বেলকনি দিয়ে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন। শেষমেশ তাকে কোনো মতে ধরে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওই তরুণী যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেখানকার চিকিৎসক ডু না জানান, ওই তরুণী প্রেমিকের সঙ্গ না পেলে বা কথা বলতে না পারলে মানসিক চাপ সহ্য করতে পারতেন না। ঘরের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। আত্মহত্যার হুমকি দিতেন। তরুণী চাইতেন তার মেসেজের রিপ্লাই সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, জিয়াওয়ু এক ধরনের বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। এটি তার মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের মানসিক অবস্থা তখনই তৈরি হয়, যদি শিশু বয়স থেকে কেউ ট্রমায় ভোগে। এতে মানসিক ভারসাম্যহীনতা বাড়তে পারে, যার জন্য বাড়তে পারে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা ও বাইপোলার ডিসঅর্ডার।

ডাক্তার জিয়াওয়ুর এ অবস্থার কারণ বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। তবে বলেছেন, শিশু বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকা এ রোগের অন্যতম কারণ। সাধারণ অবস্থায় মানসিক ব্যবস্থাপনা কৌশল ব্যবহার করে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু জিয়াওয়ুর মতো রোগীর ক্ষেত্রে ভারী ওষুধসহ উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

নাইক্ষ্যংছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দোকানসহ বাড়ি পুড়ে ছাই

টর্চার সেলে অমানবিক অত্যাচার করতেন মিল্টন সমাদ্দার : ডিবি

আজও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা

নেপচুন ল্যাবরেটরিজে চাকরি, ৬০ বছর হলেও আবেদন

কয়লাবোঝাই ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল চালকের

রাস্তায় ৪ তরুণীর মারামারি, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশও

সর্ব বিষয়ে কলকাতার সেরা নারাইন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

১ লাখ টাকায় পাবেন ১১ লাখ!

১০

ফিলিস্তিন ইস্যুতে চবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

১১

স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে ইস্টার্ন ব্যাংক, লাগবে না অভিজ্ঞতা

১২

উপজেলা নির্বাচন / ভোটের দিন অস্ত্র নিয়ে যেতে বললেন ইউপি মেম্বার!

১৩

উখিয়া শিবিরে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও এক রোহিঙ্গা খুন

১৪

‘মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিয়েছে শামসুল হক ফাউন্ডেশন’

১৫

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে, দাবি শিক্ষার্থীদের

১৬

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস নিলেন আনসার সদস্য

১৭

একসঙ্গে পাঁচ শিশুর জন্ম!

১৮

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন / ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপি নেতার অডিও ফাঁস!

১৯

বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

২০
*/ ?>
X