উত্তর কোরিয়ার আজকের কিম পরিবারের পেছনের কারিগর কিম কি নাম মারা গেছেন। বুধবার (৮ মে) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) বরাতে বিবিসি খবরটি জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৪ বছর বয়সী কিম কি নাম বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। তার বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করছিল না। তিনি ২০২২ সাল থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বুধবার সকালে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। তিনি এ প্রবীনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার অবদান স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে ‘প্রবীণ বিপ্লবী, যিনি শাসনের প্রতি সীমাহীন অনুগত ছিলেন’ বলে বর্ণনা করা হয়।
কিম কি নাম উত্তর কোরিয়ায় তিন প্রজন্মের ক্ষমতাধরে সঙ্গে কাজ করেন। তিনি কিম শাসকদের একটি আলাদা অবস্থান তৈরি এবং রাজনৈতিক বৈধতা দৃঢ় করতে তাদের পক্ষে প্রচার চালানোর দায়িত্বে ছিলেন। বিবিসি তাকে কিম পরিবারের ‘প্রপাগান্ডার মাস্টার’ বলে অভিহিত করেছে। উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রচার বিভাগের (প্রপাগান্ডা মেশিন) প্রধান সফল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি।
কিম শাসকদের এ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি দক্ষিণ কোরিয়াও সফর করেছেন। সাধারণত দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া বিরল।
স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাডেনের মতে, কিম কি নাম উত্তর কোরিয়ার নীতিমালা ও কর্মীদের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তিনি ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক ভিত্তির গুরুত্বপূর্ণ স্থপতি ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ইল সাংয়ের শাসন টিকিয়ে রাখতে অভূতপূর্ব প্রপাগান্ডা চালান তিনি। পরে কিম জং ইলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন কিম কি নাম। বর্তমান নেতা কিম জং উনের কাছে তিনি ছিলেন বেশ সম্মানিত।
মন্তব্য করুন