গ্রিসের দক্ষিণ উপকূলে শরণার্থী ও অভিবাসী বহনকারী একটি মাছ ধরার নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯-তে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার লোপোনিজ উপকূল থেকে পাইলোসের দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ জাহাজ ডুবে যায় বলে জানিয়েছে গ্রিক কোস্টগার্ড। এ স্থানটি ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে গভীরতম অঞ্চলের মধ্যে একটি। এ ঘটনায় উদ্ধারকারীরা ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। তাদের মধ্যে মিসর, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনের নাগরিক রয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে গতকাল দুর্ঘটনার পরপরই ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এতে কোস্টগার্ডের ছয়টি জাহাজ, নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট, সেনাবাহিনীর একটি সামরিক যান ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি জাহাজ অংশ নেয়। তবে ঝোড়ো বাতাসের কারণে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছিল।
গ্রিক কোস্টগার্ডের মুখপাত্র নিকোস আলেক্সিউ বলেন, ভূমধ্যসাগরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযানের মধ্যে এটি একটি। তবে জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান আমরা বন্ধ করিনি।
নৌকাডুবির ঘটনায় জীবিতদের উদ্ধার করে গ্রিসের কালামাতা শহরে নেওয়া হয়েছে। কালামাতার ডেপুটি মেয়র আইওনিস জাফিরোপোলোস বলেন, ওই নৌকায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, লিবিয়ার টোব্রুক এলাকা থেকে ইতালি যাচ্ছিল নৌকাটি। এর দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ মিটার। একপর্যায়ে যাত্রীরা একপাশে সরে গেলে নৌকাটি ডুবে যায়।
কোস্টগার্ডের মুখপাত্র অ্যালেক্সিউ বলেন, ‘নৌকার বাইরের ডেক মানুষে ভর্তি ছিল। আমাদের ধারণা, ভেতরেও একই অবস্থা ছিল।’
এর আগে রোববার একই এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী একটি নৌযান থেকে ৯০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ছাড়া বুধবার পৃথক আরেক ঘটনায় ৭০ জনের বেশি মানুষসহ একটি নৌযানকে ক্রিট দ্বীপের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের অভিবাসন রুটগুলোয় প্রায় তিন হাজার ৮০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে, ২০১৭ সালের পর যা সর্বোচ্চ। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। সূত্র : আলজাজিরা।
মন্তব্য করুন