কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রিগোজিনকে নিয়ে মুখ খুললেন পুতিন

ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রিগোঝিন । ছবি: সংগৃহীত
ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রিগোঝিন । ছবি: সংগৃহীত

ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনকে নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, প্রিগোশিন মেধাবী মানুষ ছিলেন। তবে খারাপ ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

গতকাল বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। ওই উড়োজাহাজের ১০ আরোহীর তালিকায় প্রিগোশিনের নাম ছিল। তাঁদের সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। তবে প্রিগোশিনের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। এ নিয়ে প্রথমে মুখ খোলেননি পুতিনও।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত সবার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে প্রিগোঝিনকে আমি চিনি। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে। ইউক্রেনে নাৎসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছেন ভাগনার যোদ্ধারা।’

ভাগনার বিদ্রোহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই মানুষটির ভাগ্য খারাপ ছিল। জীবনে মারাত্মক কিছু ভুল করেছিলেন তিনি। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টাও করেছিলেন। নিজের জন্য ও আমার নির্দেশে সেগুলো তিনি করেছিলেন।’

পুতিন জানান, দুর্ঘটনার আগের দিনই আফ্রিকা থেকে রাশিয়ায় ফিরেছিলেন প্রিগোঝিন। তাঁর মৃত্যু ও বিমান দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলেও জানান পুতিন।

গত বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার পথে ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৯ সঙ্গীসহ মারা যান প্রিগোঝিন। প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার কোনো কর্তৃপক্ষই প্রিগোঝিনের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। ভাগনার গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খবর প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে।

বুধবার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের খবর যখন সামনে আসে, পুতিন তখন রাশিয়ার কুরস্ক শহরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়ের ৮০তম বর্ষপূর্তিতে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। তবে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের বিষয়ে সেখানে একটি কথাও বলেননি। এমনকি বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান ব্রিকস সম্মেলনেও প্রসঙ্গটি তোলেননি তিনি।

দুর্ঘটনার মাত্র দুই মাস আগেই ইউক্রেন থেকে যুদ্ধরত অবস্থায় রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উৎখাতের হুমকি দেন প্রিগোঝিন এবং অভ্যুত্থান ঘটনাতে নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।

প্রিগোঝিনের এমন পদক্ষেপে প্রাথমিকভাবে বিচলিত হতে দেখা গিয়েছিল পুতিনকে। প্রিগোঝিনের সিদ্ধান্তকে তিনি ‘পিঠে ছুরি মারার’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তবে মস্কো থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রিগোঝিনকে থামিয়ে দেন বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। দলবল নিয়ে পরে বেলারুশেও কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন প্রিগোঝিন। তবে অভ্যুত্থানের প্রতিশোধ হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে তিনি মর্মান্তিক পরিণতি ভোগ করবেন এমন আশঙ্কাও করছিলেন অনেকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শতকোটি টাকার সরকারি জমি সাড়ে ৫ লাখে হাতবদল

নারায়ণগঞ্জে দগ্ধদের সবার অবস্থা সংকটাপন্ন

নতুন ’ইনিংস’ শুরু করলেন শচীনকন্যা সারা

যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন কেউ গোপনে আপনাকে ভালোবাসে

টিকটকার ইয়াসমিন আসলে ছেলে, জেন্ডার ফাঁসের পর গ্রেপ্তার

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম বরদাশত করা হবে না : উপদেষ্টা নুরজাহান 

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে যা জানালেন সিইসি

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নারীকে খুন, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

আজ বেবী নাজনীনের জন্মদিন

চা দোকানের মাসিক বিদ্যুৎ বিল ৩ লাখ টাকা

১০

বাড়িতে ঢুকে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১১

দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

১২

রাগিনী এমএমএস ৩’তে যুক্ত হচ্ছেন তামান্না ভাটিয়া

১৩

পর্তুগালের তারকা ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি বাড়াল ম্যানসিটি

১৪

ছবিতে কী দেখছেন, উত্তরই বলে দেবে আপনি অলস না পরিশ্রমী!

১৫

এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

১৬

 গাজায় দুর্ভিক্ষ হচ্ছে কি না, জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

১৭

কেন্দ্র দখল করলেই ভোট বাতিল : সিইসি

১৮

গোপালগঞ্জে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ৬ নেতার পদত্যাগ

১৯

সিপিএলে সাকিবের ব্যর্থতা চলছেই, দল হারল ৮৩ রানে

২০
X