

দিল্লি ও আশপাশের এলাকা ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে। এতে করে বিমান ও রেল চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (সিপিসিবি) জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ( একিউআই) ছিল ৪৫৬, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক স্তরে রয়েছে।
এদিন দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় দৃশ্যমানতা চরমভাবে কমে যায়। অক্ষরধামে একিউআই রেকর্ড করা হয় ৪৯৩, বারাপুল্লা ফ্লাইওভারে ৪৩৩ এবং বারাখাম্বা রোডে ৪৭৪। ঘন বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে থাকা শহরের একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) দিল্লির জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে অন্তত ৪০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০-এর বেশি ফ্লাইট দেরিতে চলছে।
দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জন্য সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সর্বশেষ আপডেট জানার অনুরোধ করা হয়েছে।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু ফ্লাইট আগাম বাতিল করা হতে পারে এবং যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়াও জানিয়েছে, দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট পরিচালনা প্রভাবিত হচ্ছে।
রেল চলাচলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লিগামী ও দিল্লি ছাড়াওয়া ৯০টির বেশি ট্রেন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলছে।
এদিকে বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়ায় কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (জিআরএপি) সর্বোচ্চ স্তর, অর্থাৎ স্টেজ–৪ কার্যকর করেছে। এর আওতায় দিল্লি-এনসিআর এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুরের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি সরকার সরকারি ও বেসরকারি অফিসের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। ক্লাস ১১ পর্যন্ত (ক্লাস ১০ বাদে) সব স্কুলে হাইব্রিড পদ্ধতিতে—অনলাইন ও অফলাইন—পাঠদান চালু রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন