ভারতের মুম্বাইয়ের মিরা রোডে লোমহর্ষক একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি তার নারী সঙ্গীকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করেছেন। শুধু তাই নয়, সেই টুকরোগুলো প্রেসার কুকারে সেদ্ধও করেছেন তিনি!
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (৭ জুন) সাততলার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভীতিকর দৃশ্যের মুখোমুখি হয়। ঘরজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৩২ বছরের তরুণী সরস্বতী বৈদ্যর দেহের খণ্ডিত অংশগুলো।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত মনোজ সেনের সঙ্গে ২০১৪ সালে পরিচয় ঘটে সরস্বতীর। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয় এবং একপর্যায়ে তারা একত্রে থাকা শুরু করেন। মনোজ বিবাহিত; বরিভালিতে তার বাড়ি আছে। সেখানে আত্মীয়রা থাকলেও তিনি পরিবার থেকে আলাদা থাকেন। স্থানীয় একটি রেশনের দোকানে কাজ করতেন। পরে দোকানটি বন্ধ হয়ে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মনোজ।
পুলিশ জানায়, মনোজ ও সরস্বতী পাঁচ ৫ বছর ধরে ওই অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সবসময় লেগেই থাকত। তবে নিজেদের ভেতরের কলহের কথা কখনোই বাইরে প্রকাশ করতেন না। বেশিরভাগ প্রতিবেশী খুনের ঘটনার পর তাদের নাম জেনেছেন। সরস্বতীকে রোববার খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মনোজদের প্রতিবেশী সোমেশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘উৎকট গন্ধ পেয়ে আমি ফ্ল্যাটের দরজায় কড়া নাড়ি। তখন মনোজ ভেতরে স্প্রে করে তারপর বের হন। এরপরই আমি পুলিশে খবর দিই।’
নয়ানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত বাজবেলে জানান, তরুণীর দেহের টুকরোগুলো পলিথিন ব্যাগ ও বিছানার চাদরে মুড়িয়ে মুম্বাইয়ের জে জে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
এদিকে অভিযুক্ত মনোজের দাবি, সরস্বতী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মন্তব্য করুন