কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইঞ্জিন তৈরিতে পশ্চিমা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ তুরস্কের

কুচকাওয়াজে তুর্কি সামরিক বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত
কুচকাওয়াজে তুর্কি সামরিক বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিখাতে ব্যবহৃত যেসব জিনিস উৎপাদন করা কঠিন ও কষ্টসাধ্য তার মধ্যে অন্যতম উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বলতে মূলত জঙ্গিবিমান ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিমানে ব্যবহৃত ইঞ্জিনকে বুঝানো হয়।

সাধারণত স্থল, আকাশ বা জলপথে যেসব শক্তিশালী যান চলাচল করে তাতে যেসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় সেগুলো এক হাজার হর্সপাওয়ারের হয়ে থাকে। বিশেষভাবে বলতে গেলে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান, বোয়িং ৭৩৭ ও সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ বিভাগের ব্যবহৃত হাউইটজারে ব্যবহার করা হয় এক হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন।

প্রযুক্তির এই খাতে এবার নজরকাড়া সাফল্য দেখিয়েছে তুরস্ক। এরই মধ্যে পশ্চিমা নির্ভরশীলতা কমিয়ে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।

বলা হয়ে থাকে উড়োজাহাজের ইঞ্জিন তৈরি করা একটি পরমাণু বোমা তৈরির চেয়েও কঠিন বিষয়। এটা এতটাই কঠিন যে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন যখন টর্নেডো জেটের জন্য ইঞ্জিন তৈরির উদ্যোগ নেয় তখন তারা ভাবতে পারিনি যে এতে ১৭ বছর লাগবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ফ্রান্স এককভাবে জেট ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে।

জার্মানি ও জাপানের উৎপাদন সক্ষমতা ও সম্ভাবনা থাকলেও এখনও কোনো সাফল্য আসেনি। অন্যদিকে চীন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সহায়তায় জেট ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত এ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তা বাদ দেয়। তবে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প ইঞ্জিন তৈরিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ চেষ্টার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন তৈরি করেছে তুরস্ক। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের ইঞ্জিন উন্নয়ন ও পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।

বর্তমানে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের হাতে থাকা ইঞ্জিনগুলো হল- বিএমসি পাওয়ারের তৈরি ৪০০ হর্সপাওয়ারের টুনা। এগুলো বিভিন্ন সাঁজোয়া যানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া তুর্কি অ্যারোস্পেসের তৈরি ‘PD170’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হচ্ছে আনকা, আকসুনগুর ও বাইরাকতার টিবি৩ ড্রোনে, একই কোম্পানির তৈরি ‘PG50’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হচ্ছে কারগি ড্রোনে। তুরস্কের কালে আরগে কোম্পানির তৈরি ‘KTJ3200’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হচ্ছে এ্যাটমাকা ও এসওএম ক্ষেপণাস্ত্রে, একই কোম্পানির তৈরি ‘KTJ1750’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হচ্ছে চাকির ক্ষেপণাস্ত্রে।

কালে আরগে কোম্পানির তৈরি আরেকটি ইঞ্জিন ‘KTJ3700’ ব্যবহৃত হচ্ছে কারা এ্যাটমাকা ক্ষেপণাস্ত্রে। পাকিস্তান এরই মধ্যে এই ইঞ্জিন পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তুর্কি অ্যারোস্পেসের তৈরি ‘TS1400’ ইঞ্জিন সম্প্রতি তুরস্কের গোকবে হেলিকপ্টারে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও এই ইঞ্জিন সম্প্রতি তুরস্কের তৈরি অ্যাটাক হেলিকপ্টারেও ব্যবহার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৪ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

হাদিকে গুলি করা মোটরসাইকেল চালকের পরিচয় শনাক্ত

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলিতে নিহত ২, গুরুতর আহত ৮

বাবা হওয়ার দিনে বিষাদের গল্প শোনালেন নয়ন 

বিশ্ববাজারে দরপতন, তবু চট্টগ্রামে চালের দাম চড়া

দুঃখ প্রকাশ করলেন সাদিক কায়েম

খালেদা জিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি : কবীর ভূঁইয়া

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসে আগুন

হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র : শেখ বাবলু

১০

প্যারা যুব এশিয়ান গেমসে চৈতি ও শহিদউল্লাহর স্বর্ণ জয়

১১

সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা

১২

খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা

১৩

ফ্রান্সে নিয়ে জানলেন স্ত্রী অন্যের

১৪

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ

১৫

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

১৬

শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক

১৭

বিরল রোগ ফুসফুসে পাথর

১৮

গুপ্ত হত্যায় নেমেছে পতিত ফ্যাসিস্ট ও আধিপত্যবাদী শক্তি : হেফাজতে ইসলাম

১৯

শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

২০
X