কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সুইজারল্যান্ডে বোরকা পরলেই জরিমানা!

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

২০২১ সালের গণভোটে পাস হওয়া একটি আইন অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডে এখন জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায়, দেশটির কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো বোরকা পরার জন্য এক নারীকেই জরিমানা করেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ঘটনা ঘটেছে জুরিখ শহরে, যেখানে এক নারী প্রকাশ্যে বোরকা পরেছিলেন। সুইস পুলিশ মুখপাত্র মাইকেল ওয়াকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নতুন আইন অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডে মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইভাবে, বিক্ষোভকারী বা ক্রীড়াপ্রেমী যারা মুখোশ বা বালাক্লাভা পরেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য।

তবে, এই আইনে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে- স্বাস্থ্যগত কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া, কার্নিভ্যাল ইভেন্ট, ধর্মীয় উপাসনালয়, কূটনৈতিক বা সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে মুখাবরণ পরা অনুমোদিত থাকবে।

সুইস পুলিশ মুখপাত্র ওয়াকার আরও জানান, গোপনীয়তা আইনের কারণে ওই নারীর বয়স বা পোশাকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, ওই নারী সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা, পর্যটক নন।

দেশটির আইন অনুযায়ী, প্রথমবারের লঙ্ঘনে জরিমানা ১০০ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১১০ ডলার), তবে যদি আদালতে মামলা করা হয়, তাহলে জরিমানার পরিমাণ বেড়ে ১,০০০ সুইস ফ্রাঁ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

প্রসঙ্গত, এই আইনটি ২০২১ সালের গণভোটে পাস হয়েছিল, যেখানে ৫১.২ শতাংশ ভোটার বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আইনটি মূলত ‘উগ্র ইসলাম’ রোধের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত হলেও, পরে তা পরিবর্তিত হয়ে দেশটির জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি উপায় হিসেবে পাস হয়।

সুইজারল্যান্ডের অর্ধেকেরও বেশি ক্যান্টন (প্রদেশ) আগেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তবে জাতীয় আইন পাস হওয়ার পর এটি আরও কার্যকর হয়ে উঠেছে।

এই আইন নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, এটি সুইজারল্যান্ডের ৪ লাখ মুসলিম নাগরিকের ওপর অবিচারমূলক প্রভাব ফেলছে, যদিও তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই বোরকা বা নিকাব পরেন।

সুইস সরকারও শুরুর দিকে এই আইনটির বিরোধিতা করেছিল, কারণ তারা ভেবেছিল এটি দেশের পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মুসলিম সংগঠনগুলোও এই আইনটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বোরকা বা নিকাব নিষিদ্ধ প্রথমে ফ্রান্সে ২০১১ সালে চালু হয়েছিল, এরপর অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং স্পেনেও বোরকা এবং নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন প্রতিনিধিদের ভারত সফর বাতিল

মহাখালীতে পেট্রল পাম্পে ভয়াবহ আগুন

ইরানের পাশে রাশিয়া-চীন, ইউরোপের তিন দেশের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু অক্টোবরে

ছোট্ট যে আমলে মাফ হয় ১০০ গোনাহ

আসন ভাগাভাগি নিয়ে কী বললেন নজরুল ইসলাম খান

অঙ্কনকে অধিনায়ক করে চারদিনের ম্যাচের দল ঘোষণা

ভরাডুবি হবে বলেই কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না : দুদু

আয়কর রিটার্ন নিয়ে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা জারি

দুই অধিদপ্তরে নতুন ডিজিসহ প্রশাসনিক পদে রদবদল

১০

ক্রিকেট ব্যাটে ইয়াবা বহন, বিমানবন্দরে আটক দুই যুবক

১১

আম কি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো? গবেষণায় উঠে এলো নতুন তথ্য

১২

জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ

১৩

দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা

১৪

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

১৫

ফারুকীর শারীরিক অবস্থা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

১৬

তারকারা অজান্তেই নিজস্ব সত্তা হারিয়ে ফেলেন : সোনাক্ষী সিনহা

১৭

মেট্রোরেল লাইন-১ / খরচ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা, ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ 

১৮

জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে ডেভিড বার্গম্যানের প্রতিক্রিয়া

১৯

হাসনাত আব্দুল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন এনসিপি নেতা

২০
X