সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি এ হামলার পর একটি বিবৃতিও দিয়েছেন।
শুক্রবার (০২ মে) শাফাক নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে।হামলাপর পর শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, এটি ছিল সিরিয়ার সরকারের প্রতি একটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ এবং সিরিয়ার দ্রুজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেওয়ার একটি পদক্ষেপ।
নেতানিয়াহু বলেন, দামেস্কের দক্ষিণে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ এবং দ্রুজ জনগণের প্রতি হুমকি আমরা সহ্য করব না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘আহমাদ হুসেইন আল-শারার বাসভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায়’ হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল রাজধানীর একাধিক এলাকা।
সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করেছে। সাম্প্রতিক সানায়া ও জারামানায় সংঘর্ষ এবং আস-সুইদা প্রদেশে সহিংসতা নিয়ে ইসরায়েল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই সতর্ক করেছিলেন, দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিরাপদ না থাকলে ‘চূড়ান্ত শক্তি’ প্রয়োগ করা হবে।
বুধবার সানায়া এলাকায় একটি ‘চরমপন্থি গোষ্ঠীকে’ লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে দ্রুজ বেসামরিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়।
ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ বেড়েছে গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর। তেলআবিব বলছে, এটি ছিল একটি ‘কৌশলগত অভিযান’ যাতে সিরিয়ার উত্তর সীমান্তে সেনাশক্তির পুনরুত্থান রোধ করা যায়।
সিরিয়ার অভ্যন্তরে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ইতিমধ্যেই ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত মাসে উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১,৭০০ জন, যাদের অধিকাংশই আলাউইত সম্প্রদায়ের।
ইসরায়েলের দ্রুজ ধর্মীয় নেতা মোয়াফাক তারিফ বলেন, আমরা গণহত্যার দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুজদের রক্ষা করতে এখনই হস্তক্ষেপ করতে হবে।
মন্তব্য করুন