ইসরায়েলে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) রাতে হাইফা, তেলআবিব, বাত ইয়াম, জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে আঘাত হানে ইরানের মিসাইল। এসব হামলায় বিভিন্ন স্থানে আটজন নিহত এবং দুই শতাধিক আহতের তথ্য এসেছে। ইসরায়েলিদের জন্য আরেকটি উদ্বেগের খবর হলো- হামলার পর নিখোঁজ হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ।
ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়নেট। হোম ফ্রন্ট কমান্ডের অনুমান, তেল আবিবের ঠিক দক্ষিণে বাত ইয়ামে হামলার স্থানে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইয়নেট আরও জানায়, ওই এলাকায় হামলায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০-এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
গত রাতে নিহতদের মধ্যে একজন ১০ বছরের ছেলে এবং দুজন বয়স্ক নারী। তাদের বয়স ৬৯ ও ৮০ বছর। ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের বরাত দিয়ে ইয়নেট আরও বলেছে, তেল আবিবের দক্ষিণে আরেকটি শহর রেহোভটে পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি আবাসিক ভবন কমপ্লেক্সে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২০ শিশু রয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৩টার দিকে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত হন। এদের মধ্যে রয়েছেন, সলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি ও সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি ও ফেরেদুন আব্বাসি প্রমুখ। হামলার পর প্রতিশোধের ঘোষণা দেন আয়াতু্ল্লাহ আলী খামেনি। এরপরই ইসরায়েলে মিসাইল বৃষ্টি শুরু করে ইরান।
সূত্র : আলজাজিরা
মন্তব্য করুন