কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৫০ এএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ১০:১৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরানের হামলার জবাব দেবেন কীভাবে, কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

কাতারের রাজধানী দোহার উপকণ্ঠে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ‘আল উদেইদ’ বিমানঘাঁটিতে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সোমবার (২৩ জুন) স্থানীয় সময় বিকেলে এ হামলায় শহরের একাংশ কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের শব্দে। খবর রয়টার্স।

এই হামলার মধ্য দিয়ে ইরান পূর্বঘোষিত প্রতিশোধ বাস্তবায়ন করল। তেহরান আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে এর প্রতিক্রিয়ায় তারা উপযুক্ত জবাব দেবে। এখন সেই জবাব বাস্তবে রূপ নিয়েছে, আর দৃষ্টি ঘুরে এসেছে হোয়াইট হাউসের দিকে- প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করবেন?

এর আগে ইরানে মার্কিন হামলার পর ওই রাতেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রের কোনও স্বার্থে হামলা চালালে তার ভয়াবহ জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আরও অনেক লক্ষ্যবস্তু রয়েছে, যেগুলো এখনো ব্যবহার করা হয়নি। তার এই বক্তব্য বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল।

ইরানের পাল্টা আঘাতের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে- ট্রাম্প কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন?

বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়, কিংবা কোনও মার্কিন নাগরিক হতাহত না হন, তাহলে ট্রাম্প হয়তো আপাতত সংযম দেখাবেন- এই আশায় যে ইরান এখন আলোচনায় আগ্রহ দেখাবে। এমন কৌশল ২০২০ সালের জানুয়ারিতেও দেখা গিয়েছিল, যখন কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধে ইরান ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। শতাধিক সেনা আহত হলেও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাল্টা হামলায় না গিয়ে উত্তেজনা কমানোর পথ নেয়।

তবে এবার পরিস্থিতি আরও জটিল। হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে এবং কংগ্রেসে অনেকেই চাইছেন- এই হামলার কড়া জবাব দেওয়া হোক। আর যদি জানা যায়, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের জানমালের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়বে পাল্টা আঘাত হানার।

এদিকে মার্কিন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প আগের প্রেসিডেন্টদের মতো নন। তিনি হুমকি দিলে তা বাস্তবায়ন করেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে-তিনি কি এমন একটি যুদ্ধের পথে হাঁটবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক অবস্থানকে বিপদের মুখে ফেলবে? এমনকি তার নিজ দলের অনেকেই এমন পদক্ষেপের পক্ষে নন।

বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে ট্রাম্পের দিকে। একদিকে হুমকি বাস্তবায়নের চাপ, অন্যদিকে নতুন এক যুদ্ধ এড়ানোর কৌশল- এই টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রেসিডেন্টকে নিতে হবে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটি।

এই মুহূর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ হোয়াইট হাউসের বন্ধ দরজার দিকে- কখন খুলবে, কী ঘোষণা আসবে। সেটি কি হবে প্রতিশোধের অগ্নিশিখা, নাকি কূটনৈতিক সংযমের শীতল পরশ? সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখন এটাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, বাজারদর জেনে নিন

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

১০

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

১১

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১২

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১৩

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১৪

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৫

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৬

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৭

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৮

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৯

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

২০
X