সূর্য যখন ইরাকের হিল্লার আকাশে আগুনের ফুলঝুরি ছড়াচ্ছিল, তখন ব্যাবিলনের ধ্বংসস্তূপের সামনে যেন থমকে যায় গোটা দুনিয়া। এখনকার বাতাসে পুরাতন-শাশ্বত ধুলার গন্ধ আর ফেলে আসা ইতিহাসের হাতছানি। এই সেই শহর, যেখানে একদা ঝুলন্ত উদ্যানের সবুজ ছায়া পড়ত ইউফ্রেটিসের স্বচ্ছ জলে, আর সম্রাট নেবুচাদনেজার তার রানির জন্য শুষ্ক মরুভূমিকে পরিণত করেছিলেন এক আশ্চর্য স্বর্গীয় উদ্যানে।
মেসোপটেমিয়া সভ্যতার গৌরব ছিল এই ব্যাবিলন। নেবুচাদনেজার দ্বিতীয় এখানে রাজত্ব করেছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। তার আমলে বিশাল মন্দির, অট্টালিকা আর কিংবদন্তির ঝুলন্ত উদ্যান গড়ে উঠেছিল, যা আধুনিক প্রকৌশল সৃজনশীলতার অসাধারণ এক নিদর্শন। সেই বাবিলন আজ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
ইরাকের যুদ্ধ শেষ হলেও এখনও ঝুঁকি মুক্ত নয় এই প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। আজকের বাবিলনের ইশতার গেটের নীলচে দেয়াল এখন দর্শকদের চোখে বিস্ময় ছড়ালেও তার চারপাশে ছড়িয়ে থাকে আগাছা, ভাঙাচোরা রাস্তা আর অযত্নের চিহ্ন।
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের নাম খোদাই করা ইট, মার্কিন সেনাদের ট্যাঙ্কের দাগ, দেয়ালে দেয়ালে বিক্ষিপ্ত গ্রাফিতি সব মিলিয়ে শহরটি যেন অতীতের গৌরবের সঙ্গে আধুনিকতার ক্ষতচিহ্ন বহন করে চলছে। ব্যাবিলনের আশ্চর্য সেই ঝুলন্ত বাগান এখন আর নেই। তবু অদ্ভুতভাবে, বাবিলন এখনও মায়া ছড়ায়, মোহময়তায় আচ্ছন্ন করে রাখে সবাইকে। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে...
মন্তব্য করুন