সংখ্যায় কম, শক্তিতেও দুর্বল। তবুও বুক চিতিয়ে ইসরায়েলের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তারা বলছে, পবিত্র জেরুজালেম পুনরুদ্ধার ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্যই এ লড়াই। যেখানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে। কিন্তু এক ইরান ছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে আর কোনো দেশেই সরাসরি সমর্থন জানাচ্ছে না মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিকে।
বরাবরই ফিলিস্তিন নিয়ে কথার ফুলঝুরি ছোটাতে দেখা যায়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে। স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে, অনেক হাঁকডাক ছাড়লেও, দুর্দিনে নির্যাতিত সেসব মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে, কেবল ভাসা ভাসা বক্তব্য দিয়েই, দায় সেরেছেন এরদোয়ান।
শনিবার কয়েক দশকের নির্যাতনের বদলা নিতে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হমালার পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে, নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোও।
এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলের নিন্দা কিংবা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করেননি এরদোয়ান। শনিবার আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির চতুর্থ কংগ্রেসে অংশ নিয়ে এরদোয়ান বলেন, আমরা সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানাই। তাদের অবশ্যই আক্রমণাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
অন্যদিকে, হামলার পরপরই কোনো রাখঢাক ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে ইরান। হামলা ঘটনায় হামাসকে স্বাগতও জানিয়েছে দেশটি। বলেছে, ফিলিস্তিন এবং জেরুজালেম স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, এরদোয়ানের বক্তব্যেরই যেন হুবুহু কপি করেছে মধ্যেপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব। নিজেদের মুসলিম বিশ্বের অভিভাবক দাবি করলেও ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে দেখা যায়নি রিয়াদকে। একই পথে হেঁটেছে- মিসর ও আরব আমিরাতের মতো মুসলিম দেশগুলোও।
তবে, রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে মুসলিম শাসকরা নীরব থাকলেও চুপ থাকেননি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। নানভাবে ফিলিস্তিনি ভাইদের সমর্থন জানিয়েছেন তারা। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি বোমা হামালার নিন্দা জানিয়ে মিছিল হয়েছে- ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশে।
এদিকে, হামলার দ্বিতীয় দিনে রোববার লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে সেখানকার ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। এর পাল্টা জবাবও দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতে গোষ্ঠীটি হামাসকে অস্ত্র দিলে বড় বিপাকে পড়বে তেল আবিব।
মন্তব্য করুন