ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। পাল্টাপাল্টি হামলার তিন দিন পার হলেও দুপক্ষের মধ্যে এখনো লড়াই চলায় দুই দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন থমথমে পরিস্থিতিতে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে আহত মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোর জন্য জরুরি মেডিকেল সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে নিরাপদ করিডোর উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার দিবাগত রাতে গাজার খান ইউনুসে চারটি অ্যাম্বুলেন্সকে টার্গেট করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বেইত হানুনেও বোমা হামলা করা হয়েছে। এর ফলে শহরটিতে একটিমাত্র হাসপাতাল সেবা দেয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রতিশোধের হামলা সবেমাত্র শুরু। অর্থাৎ এর চেয়েও ভয়াবহ হামলা অপেক্ষা করছে। নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্যসহ সব রকম মৌলিক সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে ওই শহরে বসবাসকারী প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলাদা এক বিবৃতিতে বলেছে, স্বাস্থ্য সেবাখাত সচল রাখার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ নেই বললেই চলে। এতে অসুস্থ ব্যক্তিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার হামাস ইসরায়েলে হঠাৎ হামলা চালালে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষ।
মন্তব্য করুন