অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিসর। তবে ত্রাণ পেয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনার শুরুতে ১০০ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মাত্র ২০ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গাজায় ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রথম চালানে কেবল ২০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে। এ ছাড়া রাফাহ সীমান্তে সবমিলিয়ে ১৫০টির মতো ট্রাক অপেক্ষমাণ। যদি এগুলো অনুমতি পায় তবে পরবর্তী সময়ে প্রবেশ করতে পারে। এগুলোর প্রবেশ করা অনুমতির ওপর নির্ভরশীল।
গাজার বাসিন্দারা জানান, আমরা প্রত্যাশিত মেডিকেল ও খাবার ত্রাণ পাচ্ছি। তবে আমাদের তেল নেই। যা উদ্বেগের বিষয়। বর্তমানে আমাদের পাঁচটি হাসপাতাল পরিষেবার বাইরে চলে গেছে। এ ছাড়া দুটি হাসপাতাল কোনোরকমে টিকে আছে। তেল সংকটের কারণে এগুলো উল্লেখযোগ্য বিভাগ বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। তাদের অবরোধের কারণে সেখানে বাইরে থেকে কোনো সহায়তা প্রবেশ করতে না পারায় ২৩ লাখের মানুষের এই অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের ১৫তম দিনে গাজায় প্রবেশের একমাত্র পথ রাফাহ ক্রসিং খুলে দিয়েছে মিসর। এরপরই এই পথ দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাকের একটি বহর প্রবেশ করেছে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের ১৫তম দিনে বেশ কয়েকটি ট্রাক রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ২৩ লাখের মানুষের গাজায় প্রবেশ করছে।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের কারণে প্রায় তিন হাজার টন মানবিক সহায়তা নিয়ে দুই শতাধিক ট্রাক রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসর প্রান্তে দিনের পর দিন আটকা পড়েছিলে। এরপর গত বৃহস্পতিবার মিসরের প্রেসিডেন্ট সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হন। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফাহ টার্মিনাল ব্যবহার করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে একমত হওয়ার পর এ বিষয়ে ঘোষণা দেয় মিসরীয় কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন