ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই দেশের নাগরিকদের গণহারে বন্দুক কিনতে উৎসাহিত করে আসছে নেতানিয়াহু সরকার। সরকারের এমন উৎসাহ বেশ কাজেও দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে রেকর্ড হারে বন্দুক কেনা শুরু করেছে ইসরায়েলিরা। খবর রয়টার্সের।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ওই দিন হামলা চালিয়ে ১৪০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। হামাসের এই হঠাৎ হামলা ইসরায়েলি সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থা কেউ আঁচ পর্যন্ত করতে পারেনি। এমনকি এ হামলার পরপর সরকার বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে সাড়া তারা পেয়েছেন, তা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলিরা।
চ্যানেল ১৩ টিভির তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হামলার পর থেকে দেড় লাখ ইসরায়েলি বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। যদিও গত বছরের একই সময়ে মাত্র ৪২ জন ইসরায়েলি বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন।
ইসরায়েলে আগ্নেয়াস্ত্র বেচাকেনায় খুব কড়াকড়ি ছিল। খুব সহজে যে কেউ সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স পান না। এমনকি অনেক সময় দেখা যায়, লাইসেন্স পেতে কয়েক মাস লেগে যায়।
তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আগে লাইসেন্স পেতে যেখানে কয়েক মাস লেগে যেত এখন কয়েক দিনেই পাওয়া যায়। তা-ও আবার অনলাইনে।
ইসরায়েলিদের গণহারে বন্দুক কেনায় চাপ পড়েছে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণকেন্দ্রেও। আগ্নেয়াস্ত্র শুটিং প্রশিক্ষক গিল শেমেশ বলেছেন, অনেক মানুষ আবেদন করছে। বিপজ্জনক বা স্বাভাবিক—সব অঞ্চলের মানুষ বন্দুক চালানো শিখতে আবেদন করছে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে এখন তাদের নতুন নতুন প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তবে বন্দুক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে কাজ করা সংস্থাগুলো বলছে, গণহারে বন্দুক কেনায় ইসরায়েলে দুর্ঘটনাজনিত গুলি, হত্যা ও আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন