ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন তারা। সংবাদমাধ্যম এবিসির এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের হাতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজার সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। আমাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব না থাকায় হামাস ইসরায়েলে অকল্পনীয় মাত্রায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসছে।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া গাজায় কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এজন্য কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা গাজার বিভিন্ন এলাকায় সাময়িক যুদ্ধাবস্থা শিথিল করেছি। আমরা তাদের সামগ্রিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি। এজন্য সেখানে আমরা জরুরি পণ্য ও মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছি। যাতে করে তারা আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেয়।
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেমেরি বাউন বলেন, গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বের মাধ্যমে ইসরায়েল সেখানে দখলদারিত্ব করতে পারে।
ইসরায়েল গাজার নিরাপত্তার কথা বললেও তারা দেশটিতে তারা আগ্রাসন চালিয়ে মানবিক সংকট বাড়িয়ে চলেছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় মানবিক অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকে এই অমানবিক ভোগান্তি বন্ধ করতে এবং গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে। গাজার দুঃস্বপ্ন একটি মানবিক সংকটের চেয়েও বেশি। এটি একটি মানবতার সংকট।
গুতেরেস বলেন, বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাচ্ছে। গাজায় এখন এমন ঘটনাই ঘটছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে এখনি মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করা জরুরি। এক্ষেত্রে সকল পক্ষের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা গাজায় আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন