ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে গত শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠক করেছেন আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা। তবে বৈঠক শেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং ইসরায়েলের নিন্দা করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি তারা। মূলত তিন দেশের বিরোধিতায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
শুরুতে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ২২ দেশের আরব লিগ এবং ৫৭ দেশের ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে চূড়ান্ত বিবৃতি নিয়ে আরব লিগের প্রতিনিধিদল একমত হতে না পারলে দুই জোটের বৈঠক একসঙ্গে করা হয় বলে এএফপিকে জানিয়েছেন আরব কূটনীতিকরা।
গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের তেল সরবরাহ বন্ধ এবং তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয় আলজেরিয়া, লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে অন্তত তিনটি দেশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। এদের মধ্যে প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের নাম বলা হলেও আরেকটি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে পাশ কাটিয়ে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। তাদের আগে মিসর ও জর্ডান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
আরবদের এই সম্মেলনের আগে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ বলেছিল, এই সম্মেলন থেকে তারা তেমন কিছু আশা করেন না।
লেবাননের বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামিক জিহাদের উপমহাসচিব মোহাম্মদ আল-হিন্দি বলেছেন, আমরা এই ধরনের বৈঠক নিয়ে কোনো আশা করি না। আমরা বহু আগে থেকেই এসব বৈঠক ও তাদের ফলাফল দেখে আসছি।
মন্তব্য করুন