গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী হাসপাতাল থেকে সব রোগীকে সরিয়ে নিতে জোর প্রয়োগ করছে। ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডকে আরেকটি যুদ্ধাপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক ইসমাইল আল তাওয়াবতা। খবর আলজাজিরার।
গণমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক বলেন, আল-শিফা হাসপাতালের বিপুল সংখ্যক রোগীকে ইসরায়েলি সেনারা সিরয়ে নেওয়ার জন্য জোর প্রয়োগ করছে। এসব রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অন্যকোনো হাসপাতালে সুযোগ সুবিধা নেই।
তিনি বলেন, হাসপাতালের এসব রোগী স্বাভাবিকভাবেই মারা যাচ্ছেন। কেননা তাদের এখন দ্রুত চিকিসার প্রয়োজন।
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, হাসপাতালের ভেতরে যেসব রোগী রয়েছেন তাদের বন্দুকের নল তাক করে সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। এমনকি তাদের সেখানে অপমাণিতও করা হচ্ছে। এটির মাধ্যমে তারা আরেকটি যুদ্ধাপরাধ করেছে।
এর আগে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) গাজার আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান আলজাজিরার কাছে জানান, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগী মারা গেছেন। এরও আগে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, আল-শিফার আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাত্র দুদিনের মাথায় বাকি সব রোগী মারা গেলেন।
হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালে ভেতরে সাত হাজার মানুষ আটকা আছেন। চিকিৎসকরা এখনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালটি ঘেরাও করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
মন্তব্য করুন