ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি করতে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এখন তারা হামাসের জবাবের অপেক্ষা করছে। হামাস ইতিবাচক সাড়া দিলেই দুপক্ষের মধ্যে এই ধরনের চুক্তি হবে। সোমবার (২০ নভেম্বর) ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেএএনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
সংবাদমাধ্যম কেএএন জানিয়েছে, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বন্দিবিনিময় চুক্তির কাছাকাছি আছে ইসরায়েল। এখন বল হামাসের কোর্টে। তারা ইতিবাচক সাড়া দিলেই এই চুক্তি হবে।
একই দিন সোমবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি বন্দিরে মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চুক্তির বেশ কাছাকাছি আছি। আশা করি একটি চুক্তি হবে। তবে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে।
অবশ্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হয়ে গেছে, এমন খবর বেশ কয়েক দিন ধরেই দিয়ে আসছে বিভিন্ন আন্তর্জতিক গণমাধ্যম।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে হামাস, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। চুক্তির আওতায় হামাস বেশ কয়েক জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি দেবে ইসরায়েল। যদিও পরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি অস্বীকার করে।
এর আগে গত সপ্তাহে কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তির খবর দিয়েছিল রয়টার্স। চুক্তির আওতায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর হামসকে নিশ্চিহ্নের নাম করে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজায় হাজার হাজার মানুষ হত্যার প্রতিবাদ এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ-সমাবেশ করলেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।
মন্তব্য করুন