গাজায় বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে করে গাজায় মানবিক সংকট বাড়ছে। ব্যাপক আকার ধারণ করেছে গাজার ক্ষুধা ও দারিদ্র্য পরিস্থিতি। চাহিদা মেটাতে সেখানকার বাজারে অপরিপক্ব পশুও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কসাইরা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সেখানে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। উপত্যকায় পণ্য আমদানিতে ইসরায়েলি বাধার কারণে কসাইরা খাবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজার অর্ধেক মানুষ এখন খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার পর থেকে সেখানে চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় কসাই মোহাম্মাদ আল গালবান রয়টার্সকে বলেন, গাজায় গোশতের দাম ব্যাপক বেড়েছে। মাত্র ১৬ শ্যাকেল (৪ দশমিক ৪ ডলার) থেকে বেড়ে বর্তমানে এ দাম ২৮ শ্যাকেলে (৭ দশমিক ৬ ডলার) গিয়ে ঠেকেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তিনিও গুতেরেস এক এক্সবার্তায় জানিয়েছে, বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষদের প্রতি পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে চারজন গাজার বাসিন্দা।
গাজার বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি থেকে জোরপূর্বক পালিয়ে এসেছেন। জাতিসংঘ এ অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহত বেড়ে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্তর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৩০০ মানুষ আহত হয়েজেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় মেডিকেল, খাদ্য ও সুপেয় পানির অভাবে রোগের প্রাদুর্ভারের আশঙ্কা ব্যাপক আকারে বাড়ছে।
মন্তব্য করুন