গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বরতা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না হাসপাতাল থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার গাজার মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের মসজিদে হামলার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ফিলিস্তিনি এক ফটোগ্রাফার। ওই ভিডিওতে দেইর আল বালাহতে জাফা মসজিদে ইসরায়েলি অভিযান চালাতে দেখা গেছে।
ফিলিস্তিনি ফটোগ্রাফার সামি আল সুলতানের তোলা ছবিটি আলজাজিরার ফ্যাক্ট চেক এজেন্সি সনদ যাচাই করেছে। যেখানে দেখা গেছে ইসরায়েলি হামলায় মসজিদের মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হামলার পরও আংশিক টিকে রয়েছে মসজিদটি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কেবল মসজিদ নয়, ইসরায়েলি হামলায় এর আশপাশে থাকা অনেক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহেই ইসরায়েলি সেনারা আল আকসা মসজিদে যুবকদের প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। এমনকি তাদের মসজিদের কাছেও যেতে দেওয়া হয় না।
প্রতি শুক্রবার এ পবিত্র জায়গাটিতে জুমার নামাজে অংশ নিতে বিপুলসংখ্যক লোকজনের সমাগম হয়। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। আগে অবশ্য বয়স্কদের নামাজের অনুমতি দিত সেনারা।
আল আকসা মসজিদে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে ৬০ থেকে ৭০ হাজার মুসলিম অংশ নেন। এ মসজিদটি মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। সবশেষ জুমায় এ মসজিদে ৫ হাজার মুসলিম অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন।
ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধের কারণে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। যে কোনো উত্তেজনা এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েলের ওই দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। তার বলছেন, স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত ও চলাফেরা বাধাগ্রস্ত করতে এটাকে কেবল অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন