যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তার এই পরিকল্পনা ভালোভাবে নেয়নি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেছেন, নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। বিশ্ব যদি সত্যিকার অর্থে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী হয়, তাহলে অবশ্যই ফিলিস্তিন ভূমির ওপর ইসরায়েলের দখলদারির অবসান ঘটাতে হবে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
দেশি-বিদেশি চাপের মুখে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কাছে এই পরিকল্পনার নথি উপস্থাপন করেন নেতানিয়াহু। এরপর শুক্রবার থেকে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অনুযায়ী, অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল। হামাসের পরিবর্তে ইসরায়েলবিদ্বেষী নয় এমন কোনো গোষ্ঠী গাজার শাসনভার পরিচালনা করবে।
যুদ্ধ শেষে গাজার শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চায় ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে বৃহস্পতিবারের সংক্ষিপ্ত নথিতে এমন কোনো কিছুর কথা উল্লেখ নেই। অবশ্য আগে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত এই সংস্থার কাছে যুদ্ধোত্তর গাজাকে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব অনেকবার নাকচ করেছেন নেতানিয়াহু।
এ ছাড়া গাজাকে একটি বেসামরিক অঞ্চলে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র এই উপত্যকার জনশৃঙ্খলা রক্ষার বাইরে সব ধরনের সামরিক সক্ষমতা কেড়ে নেবে ইসরায়েল।
গাজার সব ধর্মীয়, শিক্ষা ও কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে চরমপন্থা রোধ কর্মসূচি চালু করার কথা বলছে তেল আবিব। এই ধরনের কর্মসূচির পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন আরব দেশকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে। তবে কোন দেশকে যুক্ত করা হবে তা বলা হয়নি।
শুধু গাজা নয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী অধিকৃত পশ্চিম তীরের স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতে নেবে ইসরায়েলি সেনারা।
মন্তব্য করুন