ইমাম মোয়াজ্জিন ও আলেমদের সুখবর দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটি এ শ্রেণির লোকদের জন্য গোল্ডেন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। তবে এ জন্য অভিজ্ঞতার শর্তারোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব ইমাম, মুফতি, ধর্মীয় স্কলার ও প্রচারক দুবাইয়ে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হবে। ক্রাউন প্রিন্স অব দুবাই এবং এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যার শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম এ নির্দেশ দিয়েছেন।
কেবল গোল্ডেন ভিসা নয়, দুবাইয়ের এসব ধর্মীয় বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা ইদুল ফিতর উপলক্ষে আর্থিক অনুদান পাবেন। বার্ষিক সংস্কৃতির অংশ হিসেবে তাদের এ সুবিধা দেওয়া হবে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে সোনার হরিণের মতো মূল্যবান গোল্ডেন ভিসা সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে ১০ বছরমেয়াদি হয়ে থাকে। এ ধরনের ভিসাপ্রাপ্তরা আমিরাতে দীর্ঘদিন বসবাস করতে পারেন। এ ছাড়া তারা নিজেদের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের দুবাইয়ে আনতে পারা, বিভিন্ন পরিষেবার অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা, সাধারণভাবে নির্ধারিত ছয় মাসের বেশি সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থাকার ব্যাপারে নমনীয়তাসহ আরও অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এর আগে গত মাসে শেখ হামদান দুবাইয়ে ইমাম মোয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগের অধীনে পরিচালিত সকল মসজিদে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের এ সুবিধা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
ইসলামি পরিভাষায় মসজিদে নামাজে যিনি ইমামতি করেন সমাজেও তিনিই নেতার ভূমিকা পালন করবেন। মসজিদে আজান এবং ঘোষকের ভূমিকার পালন করেন মোয়াজ্জিনরা। এ ছাড়া মুফতিরা ফতোয়া এবং আলেমরা ধর্মীয় নানা বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে অসংখ্য ছোটবড় মসজিদ রয়েছে। মরুভূমির এ দেশের অন্যতম শহর হলো দুবাই। প্রতিদিন হাজারও মানুষ দেশটির মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকেন।
মন্তব্য করুন