কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ১১:৫০ পিএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ক্ষতিপূরণ কি পাবেন টাইটানে নিহতদের স্বজনরা?

টাইটান দুর্ঘটনায় নিহতদের একাংশ। ছবি : সংগৃহীত
টাইটান দুর্ঘটনায় নিহতদের একাংশ। ছবি : সংগৃহীত

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন টাইটান নিখোঁজের ঘটনায় নিহত পাঁচ পর্যটকের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবেন কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্লেষণমূলক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যু অথবা বিপর্যয়ে কর্তৃপক্ষ দায় নেবে না, এমন স্বাক্ষর করেই সাবমেরিন টাইটানে চড়েন পর্যটকরা। তবে এমন চুক্তি করে চড়লেও এখনো তারা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাদের পাড়ি দিতে হবে জটিল আইনি পথ। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জটিল সমীকরণ।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতে সব সময় দায় মওকুফের বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হয় না। যদি কর্তৃপক্ষের গুরুতর অবহেলা বা বিপদের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তরা সম্মতি জানালেও বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করে রায় দিতে পারেন।

সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ ডি. শেফার বলেন, যাত্রীদের কাছে টাইটানের কোনো দুর্বলতা গোপন করা হলে, মৃত্যুর দায় মওকুফের যে চুক্তি হয়েছে, তা টিকবে না। আর ক্যালিফোর্নিয়ার আইনজীবী জোসেফ লো বলেন, দায় মওকুফের পরও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। তবে বিপর্যয়ের কারণ না জানা পর্যন্ত তা প্রযোজ্য হবে কি না, তা ঠিক করে বলা যাবে না।

গত রোববার ওয়াশিংটনের এভারেট কাউন্টিভিত্তিক কোম্পানি ওশানগেটের সাবমেরিন টাইটানে চড়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান পাঁচ পর্যটক। তারা হলেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।

আটলান্টিকের গভীরে ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় টাইটানের সঙ্গে পানির ওপরে থাকা নিয়ন্ত্রক জাহাজ ‘পোলার প্রিন্সের’ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে চলছিল টাইটানের উদ্ধার অভিযান।

চারদিনের শ্বাসরুদ্ধকর তল্লাশি শেষে টাইটানে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ উদ্ধার করা গেলেও এর ভেতরের পাঁচ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব না-ও হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।

ওশানগেটের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো সম্পদ আছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি। তবে যদি প্রতিষ্ঠানটির বিমা করা থাকে, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে পারবেন। অবহেলার কারণেই বিস্ফোরণ ঘটেছে—যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে টাইটান সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা, নির্মাণ বা উপাদান তৈরিতে সহায়তাকারী তৃতীয় পক্ষের কাছেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলার তদন্তে মূল প্রশ্ন হবে-ওশানগেট সাবমেরিনের নিরাপত্তা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কী জানত এবং যাত্রীদের কী জানানো হয়েছিল?

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধারাবাহিকে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি: দেবযানী

পিঠা খেয়ে একই পরিবারের ১১ জন অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

খাবার নিয়ে বিপাকে রণবীর কাপুর

প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু

মারা গেলেন কিংবদন্তি জার্মান অভিনেতা

কনকনে শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিট প্ল্যান প্রকাশ

এ ছবিটিই বলে দেবে আপনার মানসিক চরিত্র

দুধ দিয়ে গোসল করে দাম্পত্যের ইতি টানলেন প্রবীর

দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১০

রাকুলের সতর্কবার্তা

১১

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

১২

হেলে পড়া ভবন পরিদর্শন শেষে যা জানাল বিসিসি

১৩

মধ্যরাতে পাকিস্তানের বোমা হামলায় ৯ আফগান শিশুসহ নিহত ১০

১৪

যেসব দেশে থাকার জন্য টাকা পাওয়া যাবে

১৫

নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ

১৬

মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য সহায়তায় নতুন কৌশলে যুক্তরাষ্ট্র

১৭

গায়েহলুদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে বর-কনে

১৮

১৩ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিশু মাকসুদুর

১৯

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

২০
X