কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পৃথিবীর নরক বলে খ্যাত যে জায়গা

নরকের মতো উত্তপ্ত এলাকা। প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত
নরকের মতো উত্তপ্ত এলাকা। প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর বুকেই বিরাজ করছে নরক, যার গল্পে বিভোর হয়ে ছিলেন অনেক রহস্যপ্রেমীই। নরকের এই রহস্যটা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৯ সালের দিকে। ক্যালিফোর্নিয়ারই এক এলাকা সাটার্স মিলে খোঁজ মেলে সোনার খনির। সে সময় স্বর্ণ সন্ধানীদের দেখা মিলত প্রায়ই। এসব স্বর্ণ সন্ধানীরা এই খনির খোঁজ পেয়ে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে সিয়েরা পর্বত যাত্রা শুরু করেন।

স্বর্ণ পাওয়া তো দূরের কথা, এই স্বর্ণ সন্ধানীরা গিয়ে এমন এক ভয়াবহ মৃত্যু ফাঁদে পড়ে যে, কোনো রকমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন। আর এ ঘটনার পর থেকেই সে জায়গার নাম হয়ে যায় ডেথ ভ্যালি বা মৃত্যু উপত্যকা।

ক্যালিফোর্নিয়ার এ জায়গাটি মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমির চেয়েও অনেক বেশি উষ্ণ বলে অভিহিত করা হয়। ২০২০ সালের আগস্টে এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটি ১৯১৩ সালের পর রেকর্ড করা পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ডেথ ভ্যালির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৫৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে গিনেস বুকে রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, একসময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৮২ ফুট নিচে অবস্থানরত এ উপত্যকাটিতে বৃষ্টি হয় মাত্র ৫ সেন্টিমিটারের মতো। এই প্রতিকূল পরিবেশে দিনের খরতাপে গাছপালা বেঁচে থাকা দূরের কথা, কোনো প্রাণীর দিনের বেলা টিকে থাকা দুষ্কর। তবে লিজার্ড নামক একপ্রকার গিরগিটি দেখা যায়। মূলত দিনের বেলা ১৩৪ ফারেনহাইট তাপমাত্রা সহ্য করা যে কোনো প্রাণীর পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

ডেথ ভ্যালির অন্যতম বিস্ময় হলো স্লাইডিং স্টোন। বাংলায় যাকে বলা যায় চলমান পাথর। পাথরের অবস্থানের পেছনে রেখে যাওয়া ছাপ দেখে তাদের স্থান পরিবর্তন হওয়াটা নিশ্চিত হওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে কয়েকশ পাউন্ড ওজনের পাথরও রয়েছে।

অনেকেই বলেন যে, তীব্র বাতাস, কাদামাটি, বরফ, তাপমাত্রার তারতম্যতার কারণে পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা দেখা যায়, এসব পাথর কখনোই সরল পথে গমন করে না বরং কিছু সরল পথে চললে বাকিটুকু চলে বাঁকানো পথে।

ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ের ফলে সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন না এমন কিন্তু নয়। রহস্যে ঘেরা ডেথভ্যালির ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য দেখতে প্রতি বছর সেখানে ভিড় করেন প্রায় চার লাখ পর্যটক। তবে উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য সেখানে খুব বেশি সময় তারা থাকতে পারেন না। জানা গেছে, ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাপে দগ্ধ হয়ে সেখানে মারা গেছেন ১৮ জন!

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ঢাবির জসীমউদদীন হল

একনজরে আজকের ভারত-পাকিস্তান ঘটনাপ্রবাহ

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের শুভেচ্ছা

কেন জরুরি বৈঠক, জানালেন প্রেস সচিব

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিনোদনে পরিণত হয়েছে : প্রেস সচিব

টাঙ্গাইলে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের মৃত্যু

আ.লীগকে নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের স্মারকলিপি

আ.লীগ নিষিদ্ধে এক ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত

গৃহবধূর চুল কাটার ঘটনায় মা ও মেয়ে গ্রেপ্তার

আ.লীগ নিষিদ্ধ না করলে কী হবে, জানালেন নুর

১০

আইইবিকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করে ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার দাবি

১১

বর্তমান সরকারকে আমরা সফল দেখতে চাই : তারেক রহমান

১২

ভোলা থেকে শাহবাগে জুলাই শহীদের স্ত্রী ফাতেমা

১৩

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি শুরু কখন থেকে?

১৪

দেশের মানুষ আ.লীগকে আর দেখতে চায় না : ফখরুল 

১৫

শাহবাগে ফাঁসিতে ঝুলছে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি

১৬

তদবিরে অতিষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নতুন নির্দেশনা জারি

১৭

ডিসেম্বরে মীরগঞ্জ সেতুর কাজ শুরু হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

১৮

দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : খাদ্য উপদেষ্টা

১৯

ফেসবুকে পোস্ট করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা যায় না : দুদু

২০
X