কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিমানের সবচেয়ে নিরাপদ আসন কোনটি?

উড্ডয়মান বিমান। ছবি : সংগৃহীত
উড্ডয়মান বিমান। ছবি : সংগৃহীত

বিমানে চড়ে বসলেই অনেকের মনে কেমন যেন ভয় ভয় লাগে। কিন্তু মাঝ আকাশে হঠাৎ যদি জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কোন সিটটি আপনাকে বেশি সুরক্ষা দেবে, সেটা কখনো ভেবে দেখেছেন?

আকাশপথে চলাচলকারী অধিকাংশই যাত্রীই সম্ভবত এটা নিয়ে ভাবেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বসতে বা টয়লেটে যেতে সুবিধা হবে, এমন পজিশনে সিট বুক করেন যাত্রীরা। অনেকে আবার সামনের দিকের সিট বুক করেন যাতে তাড়াতাড়ি নামতে পারেন।

পৃথিবীতে প্রচলিত সব পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে আকাশপথে চলাচল সবচেয়ে নিরাপদ। এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭ কোটি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এ সময় মাত্র ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা ২ লাখ ৫ হাজার ৫৫২ বারে একবার, যেখানে গাড়ির ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ১০২ বারে একবার।

৩৫ বছরের বিমান দুর্ঘটনার তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেছে টাইম ম্যাগাজিন। ওই প্রতিবেদনে বিমানের ভেতর সবচেয়ে নিরাপদ সিট কোনগুলো, তা বের করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, বিমানের মাঝের সারিতে বসা যাত্রীদের তুলনায় পেছনের দিককার মাঝামাঝি সিটগুলোতে বসাদের মধ্যে মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম। এটা যৌক্তিকও বটে। কেননা এক্সিটের কাছাকাছি বসা ব্যক্তিরাই তো আগে বের হতে পারবেন!

আবার সামনের দিককার কাছাকাছি বসার অর্থ হচ্ছে যারা পেছনে আছেন, তাদের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন তারা। এমনকি ইমার্জেন্সি এক্সিটের ক্ষেত্রেও তার পিছিয়ে থাকেন। তবে কী ধরনের জরুরি অবস্থা এসে পড়ে, তার ওপর বেঁচে ফেরার বিষয়টা নির্ভর করে। পাহাড়ে গিয়ে বিমান আঘাত করলে বাঁচার সম্ভাবনা কমে আসে। ১৯৭৯ সালে নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট এরিবাসে আঘাত হানলে সব আরোহী নিহত হয়েছিল।

আবার বিমান যদি সমুদ্রে নাক ডুবিয়ে দেয়, তাহলেও বাঁচার সম্ভাবনা কম আছে। ২০০৯ সালে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল এয়ার ফ্রান্সের একটি ফ্লাইট। তখন সেই দুর্ঘটনায় ২২৮ জন যাত্রী এবং ক্রুর সবাই নিহত হয়েছিল।

তবে জরুরি পরিস্থিতি সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে পাইলটদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। পাহাড়-পর্বত এড়িয়ে সমতলে অবতরণ বা পানিতে অবতরণের সময় ঢেউয়ের হিসাব বিবেচনায় নেওয়ার মতো বিষয় শেখানো হয় তাদের।

ফ্লাইটের ভেতর স্ট্রেস কমানোর লক্ষ্যে অনেক বেশি কম্পোজিট মেটেরিয়াল ব্যবহার করে নতুন বিমান বানাচ্ছে প্রস্তুতকারকরা। এসব নকশায় বিমানের পাখা ফিক্সড নয় বরং চরম মুহূর্তে স্ট্রাকচারাল ফেইলর ঠেকানোর মতো করে প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিছু বিষয় এদিক-সেদিক থাকলেও প্রায় সব প্লেনের ফিজিক্স অব ফ্লাইট প্রায় একই।

সাধারণত বড় বিমানগুলোতে বেশি পরিমাণ স্ট্রাকচারাল মেটেরিয়াল থাকে, তাই বেশি উচ্চতায় এগুলোর চাপ নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানে হামলায় জড়িত জর্ডান-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি 

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক সেই নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার

গলে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই মিরাজ

তেহরানে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ দূতাবাস

কী হতে চলেছে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে?

ইরান ইসরায়েল সংঘাতে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যেসব বিভাগে হতে পারে ভারি বৃষ্টি

সাঁজোয়া যানে হামলায় ইসরায়েলি সেনা নিহত, আশঙ্কাজনক ৪

এবার যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন ট্রাম্পের দলের সিনেটর

সুন্দরবনে থামছে না হরিণ শিকার, জব্দ ৬ শতাধিক ফাঁদ

১০

মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ২১ মুসলিম দেশ

১১

আজও ঢাকায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১২

ইরানি মিসাইলে জ্বলছে ইসরায়েলের তেল শোধনাগার, নিহত ৩

১৩

ভোরে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫৮ বাংলাদেশি

১৪

কিছু একটা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : মাখোঁ

১৫

ঝালকাঠিতে আওয়ামীপন্থি ১৬ আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল 

১৬

যত দ্রুত সম্ভব চীনাদের ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ

১৭

দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, কারাগারে শ্রমিকদলের ৩ নেতা 

১৮

পুশইন করা ভারতীয় দম্পতিকে ফেরত পাঠাল বিজিবি 

১৯

১৭ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X