এবার পাকিস্তানজুড়ে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। দেশের বিভিন্ন স্থানে সেসব আঘাত হানে। হামলা ঠেকাতে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীও ছিল তৎপরতা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ১২টি ভারতীয় ড্রোন আটক করে ধ্বংস করেছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি আইএসপিআর) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ৭ এবং ৮ মে ভারতীয় ড্রোন দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। গত রাতে ভারত একাধিক স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি স্পষ্ট সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে।
ডিজি আইএসপিআর বলেন- লাহোর, গুজরানওয়ালা, রাওয়ালপিন্ডি, চকওয়াল, বাহাওয়ালপুর, মিয়ানওয়ালি, করাচি, চোর, মিয়ানো এবং অ্যাটকে হামলাকারী ড্রোন সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে ১৩ তম ড্রোনটি লাহোরের কাছে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আংশিকভাবে আঘাত করতে সক্ষম হয়। যার ফলে সরঞ্জামের ন্যূনতম ক্ষতি হয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, লাহোরে ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের চার সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। সিন্ধুর মিয়ানোতে একজন বেসামরিক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন।
সামরিক মুখপাত্র ভারতের এই প্রচেষ্টাগুলোকে আগ্রাসনের একটি অব্যাহত ধরণ হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তানের বাহিনী দেশের আকাশসীমা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলে একে অপরের দিকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে ভারত ও পাকিস্তান। বুধবার (৭ মে) রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে এ আর্টিলারি সংঘাত বাধে। এর আগে বুধবার দিনে এক দফা গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের প্রতিরক্ষা মুখপাত্রের বিবৃতি অনুসারে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অফ কন্ট্রোল) জুড়ে ছোট অস্ত্র এবং আর্টিলারি বন্দুক দিয়ে গুলি ও গোলাবর্ষণ করেছে। জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বার্টওয়াল জানান, ভারতীয় সেনারা সজাগ আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সক্ষম।
মন্তব্য করুন